এক গাড়ি নিয়ে সংঘর্ষ হলো দুই পাড়ায়
নিউজ ডেস্ক: গাড়ি-ঘোড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষএ উত্তপ্ত হাওড়ার বাঁকড়ার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ইট বৃষ্টি ও বোমাবাজির অভিযোগ। আজ দুপুরে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বাকরা রশিকলে। এলাকার শান্তি ফেরাতে শেষ শেষ নামাতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার এক জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী আজ তার গাড়ি ঘোরানোর সময় অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। এতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধাক্কা লাগা গাড়িটি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বচসা বেধে যায়। ক্রমে সেই বচসা হাতাহাতির রূপ নেয়। অভিযোগ, এরপরই ওই ব্যবসায়ীর লোকজন পাশের লোকজনকে মারধর করে। প্রতিহিংসা মেটাতে এরপর দলবেঁধে পাশের পাড়ার লোকেরা হামলা চালায়। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক ইট বৃষ্টি। কয়েকটি বাইক ভাংচুরের পাশাপাশি একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকি উত্তেজনার মাঝে বেশ কয়েকটি বোমাও মারা হয়। বোমাবাজি ও হামলা চালানোর অভিযোগের তীর স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দিকে। এদিকে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ছুটে আসে ডোমজুড় থানা পুলিশ এবং রাফ । মাইকিং শুরু হয় পুলিশের তরফে। দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে ডোমজুড়ে থানা ও RAF। এর পর থেকেই ওই এলাকার পরিস্থিতি কার্যত থমথমে।
স্থানীয় বাকরা ৩ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান জাকির হোসেন মন্ডলের বক্তব্য, আমার বিরুদ্ধে কেউ চাইলে অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম বলে প্রশাসন থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম কেউ দেখেনি। তবে কি ঘটনা ঘটেছে তা প্রশাসন তদন্ত করে বের করুক। তবে এই ধরনের অশান্তি হওয়ার আগে উচিত ছিল দু’পক্ষের আমার কাছে এসে ব্যাপারটি মীমাংসা করে নেওয়া।
উল্লেখ্য, সামান্য গাড়ি রাখা কে কেন্দ্র করে এই ধরনের সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই এলাকায় RAF এর টহল চলবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। শেষ খবর অনুযায়ী দুপক্ষের মত ৬/৭ জন আহত। তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয় হাসপাতালে।