দ্রুত ত্রাণের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে দুস্থদের! বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে সোমবার ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দিন তিনি রাজ্যের ৪ জেলা হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আগামীকাল আরো পাঁচ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরে মেরামতি হয়েছে কিন্তু তারপরেও ভাঙছে বাদ। তাহলে কি তাড়াহুড়োয় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? এছাড়াও তিনি আরো জানিয়েছেন ডিভিসি জল ছাড়ার আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালে জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।
ত্রাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ত্রাণের টাকা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে দিয়ে দিতে হবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে তিন লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে। সব রাজ্যে বন্যার সমস্যা নেই কিন্তু বাংলায় আছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং করা হয়নি। যদি তা করা হত তাহলে কোন সমস্যা হতো না। যেসব জেলায় বন্যার সম্ভাবনা সেখানে ঘুরে দেখতে হবে গোটা বিষয়।
রাজ্যের রাস্তাঘাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোন রাস্তা খারাপ কোথায় জল জমছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। রাজ্যকে ২০০ কোটি টাকা দিতে হবে অথচ এইচআরবিসি টোল পায়। তবু কেন মেরামতি করা হচ্ছে না? এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন তোলেন। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ মোটামুটি ভালোই এগোচ্ছে। বৃষ্টিতে মিনাখা সন্দেশখালিতে জল জমেছে। হুগলির পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ! কেন এমন হল? তা নিয়েও এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
এছাড়াও করোনা নিয়েই এই দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন যে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ায় করোনার মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি। মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশি পরীক্ষা করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা নিয়ে বেশি করে যাতে প্রচার চালানো হয় রাজ্যে সেই কথা এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের উল্লেখ করেন।