মেয়ের হত্যার ৬ বছর পরে অবশেষে মিললো বিচার
নিউজ ডেস্ক: এই প্রসঙ্গে তার মা বিষ্ণুপ্রিয়া দাস জানান তিনি চান তার মেয়ের হত্যাকারীর যাবজ্জীবন হোক। সারাজীবন যেন সে গারোদের পেছনেই থাকে এটাই কামনা তার। তিনি জানান আজকে যে তার মেয়ের হত্যাকারীর শাস্তি পেলো তাতে তিনি খুশি ও দাবি করেন এতে তার আত্মার শান্তি পাবে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন তার মেয়ের বিয়ের পর থেকেই তার উপরে অত্যাচার করা হতো। তাকে খেতে দিত না। তার ওপরে চাপ দেওয়া হতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য। তবে আজকে যে রায় ঘোষণা হলো তাতে তিনি খুশি বলেই দাবি করেন। তিনি আরো দাবি করেন যদি তার মেয়ের হত্যাকারীকে সারাজীবন জেলে রাখা সম্ভব হয় তাহলে আরো খুশি হতেন।
পাশাপাশি এই মামলার আইনজীবী জানান এই মামলার আবেদনকারী লোকেদের বাড়ি কাজ করেন। তার মেয়েকে বিয়ের ১০ মাসের মাথায় পুড়িয়ে মারে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পনের জন্য এই হত্যা করা হয়েছিল বলেই তিনি দাবি করেন। তিনি জানান আদালত ওই তিন অভিযুক্তকে ৪৯৮ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০৪ বি ধারায় সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। ৪৯৮ ধারায় তাদের ৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে আরো ৬ মাস সাজা বাড়বে বলেই জানান তিনি।
প্রসঙ্গত মৃতা রুম্পা নিয়োগির বিবাহ হয় রাজ নিয়োগীর বিবাহ হয় ২০১৪ সালে। বিয়ের ১০ মাস পরে তার স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারে।খবর পেয়ে তার মা তার মেয়েকে হাওড়া হাসপাতালে দেখতে গেলে সেই সময় অগ্নিদগ্ধা টুম্পা তার মা কে জানায় তার স্বামী ও শ্বশুর, শ্বাশুড়ি মিলে তাকে পুড়িয়ে মেরে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দেয়। এতো দিন বাদে মেয়ের হত্যাকারীরা শাস্তি পাওয়ায় তার মা খুশি হয়েছেন।