ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের

0 0
Read Time:4 Minute, 25 Second

মালদা: মৃত্যু এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামুখা গ্রামে। কুড়ি বছর বয়সি বংশিলালের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।

তার পরিবারের অভিযোগ,যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত সে সেই ঠিকাদারই খুন করেছে তাকে। মৃত ঐ শ্রমিকের নাম বংশীলাল মন্ডল।
হরিয়ানার কাটলা এলাকায় একটি কাঠ চেরাই মিলে কাজ করতো বংশীলাল মন্ডল।

স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে গিয়ে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত সে।টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল ওই ঠিকাদারের সঙ্গে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে কিছুদিন আগে ওই ঠিকাদারের কাছে কাজের উপযুক্ত পারিশ্রমিক চাইতে গেলে সেই ঠিকাদার তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।সেই সময় ফোন মারফত ওই ঘটনা বাড়িতে জানিয়েছিল বংশীলাল।

কিন্তু বাড়ির লোক ঘটনাটা তেমন গুরুত্ব দিয়ে ভাবেনি।গত ৮ ই অক্টোবর সকালে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ স্থানীয় রেললাইনের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়।তাই মৃত ঐ পরিযায়ী শ্রমিক এর পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে।ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা। হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ উদ্ধার করে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে

বংশীলালের বাবা মহাবীর মন্ডল জানান,”মাস তিনেক আগে প্রতিবেশী যুবক ছোট্টু মন্ডল এর সঙ্গে আমার ছেলে বংশীলাল মন্ডল হরিয়ানার কাটলা এলাকায় গিয়েছিল কাজের জন্য।সেখানেই ওই ছোট্টু মন্ডলের শ্যালক অর্জুন মণ্ডল নামে এক ঠিকাদার এর অধীনে কাজ করতো সে। কিন্তু কাজের টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা হয়। পারিশ্রমিক চাইতে গেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। আজ অর্থাৎ ১০ ই অক্টোবর বাড়ি চলে আসার ছিল বংশীলাল। কিন্তু ৮ তারিখ বংশীলাল এর মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসে।”


হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেছেন,”মৌখিকভাবে ওই পরিবারের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা করব।”
দাদা সঞ্জীব মন্ডল জানান,”আমার ভাইয়ের সেই সময় কাজ করতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না।প্রতিবেশী ছোট্টু মন্ডল ওকে জোর করে নিয়ে যায় কাজ করতে। প্রথমে যে মাইনে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেই মাইনে দিচ্ছিল না। ফলে বেতন নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা এবং মনমালিন্য চলছিল। বাড়িতেও সেই কথা জানিয়েছিল। কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসার ছিল সে তাই বেতন চাইতে গেছিল ঠিকাদারের কাছে। সেই সময় খুনের হুমকি দিয়েছিল তারা। তাই আমাদের সন্দেহ আমার ভাইকে ওরাই খুন করে ফেলে রেখেছিল। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা যখন তাদের ফোন করি সেই সময়ে তাদের কথার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্যতা ছিল না। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক এটাই চাই।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!