ডেপুটি স্পিকারের মৃতদেহ সৎকার নিয়ে অশান্তি
নিউজ ডেস্ক: জেলা প্রশাসনের অদক্ষতায় রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পীকারের মৃতদেহ সৎকার করা নিয়ে চূড়ান্ত অশান্তি।আদিবাসীদের নিয়ম অনু্যায়ী মৃত্যুর পরে নিজের জমিটুকুও জুটল না শেষকৃত্যের জন্য।গ্রামবাসীদের বাঁধায় নিজের জন্মভিটেতে মৃতদেহ পোড়াতে না পেরে গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ পোড়াতে হল পরিবারকে।তারপরেও দিনভর বিসৃঙ্খলা। মৃত্যুর প্রায় ৩০ ঘন্টা পরে মৃতদেহ সৎকার করতে সক্ষম হল পরিবারের লোকজন।গতকাল কলকাতার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারনে মৃত্যু হয় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার সুকুমার হাঁসদার।এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুকুমার বাবুর মৃতদেহ নিয়ে সন্ধে ৭ টা নাগাদ সুকুমার বাবুর বাসভবনে পৌঁছান।ডেপুটি স্পীকার হবার কারনে পুর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য হবার কথা।কিন্তু স্থানীয় জেলা প্রশাসন সমাজের সাথে কথা না বলে নিজেদের মতো করে সব কার্য সম্পন্ন করতে চাওয়ায় বেঁকে বসে সমাজের মানুষজন।রাত্রে কিছু না হলেও সকাল থেকেই শুরু হয় চুড়ান্ত নাটক।ডি. এম,এস.পি কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আদিবাসী মানুষজন।তাঁদের বক্তব্য যে রিতী অনুযায়ী আদিবাসী দের মৃতদেহ সৎকার করা হয় তাঁর কোনো নিয়মই মানা হয়নি।এমনকি চিতাও সাজানো হয়নি ঠিকভাবে।অবশেষে পরিবারের লোকের অনুরোধে ও জরিমানা হিসাবে দাহ করা জমির ৩ কাঠা শ্মশান করার জন্য দেওযার বিনিময়ে মৃতদেহ সৎকার করতে সক্ষম হয় সুকুমার বাবুর পরিবার।