করোনা চিকিৎসায় নতুন দিশা
নিউজ ডেস্ক: করোনা চিকিৎসায় নতুন অ্যান্টিবডির খোঁজ পাওয়া গেল। ভ্যাকসিন দিয়ে প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরীর বদলে সরাসরি রক্তে আন্টি বডি ইঞ্জেক্ট করে ভাইরাস নির্মূল করার গবেষণা চলছে নানা দেশে। সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা দাবি করেছে এমন এক মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি খোঁজ মিলেছে যা রক্তে মিশে ভাইরাস স্ট্রেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। সংক্রমণ রোধে সাহায্য করবে এই অ্যান্টিবডি এবং মৃত্যুর ঝুঁকিও কমাবে।
আমেরিকার সিনাই মেডিকেল কলেজের গবেষকরা এক রোগীর রক্ত থেকে এই অ্যান্টিবাডিকে খুঁজে বের করেছেন। এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির নাম LY-CoV555।
জেনে নেওয়া যাক এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি আসলে কি?
মানুষের দেহকোষে যখন কোন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেন ঢুকে পড়ে তখন তার প্রতিরোধ, শরীর নিজেই তৈরি করে। সাধারণত জন্মগতভাবে যে রোগ প্রতিরোধক তৈরি হয় শরীরে তাকে বলে ইননেট ইমিউনিটি। শ্বেত রক্ত কণিকার নিউট্রোফিল ম্যাক্রোফেজ ও মনোসাইট এই ধরনের ইমিউনিটি তৈরি করে। আর বাইরে থেকে যে প্রতিষেধক দিয়ে যে ইমিউনিটি তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় অ্যাডাপটিভ ইমিউনিটি। রক্তের বি লিম্ফোসাইট কোষ ও টি লিম্ফোসাইট কোষ বা টি কোষ এই ধরনের ইমিউনিটি গড়ে তোলে। এখন সার্স কভ ২ ভাইরাস যখন শরীরে ঢুকছে তখন তার প্রতিরোধে রক্তের বি কোষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই বি কোষ তার অনেকগুলি প্রতিলিপি তৈরি করে যাকে বলে ক্লোনিং। এমন অজস্র কোষ থেকে লক্ষ লক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি হয় রক্তরসে। এদের সমষ্টিগত ভাবে বলে পলিক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এই সমষ্টির মধ্যে থেকে যদি একটিকে থেকে বের করা যায় তাহলে তাকে বলে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। মনোক্লোনাল মানে যার সাহায্যে অ্যান্টিজেন বা ভাইরাল প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে নষ্ট করে দিতে পারে।