ইমিউনিটি বাড়াতে হলুদ মিশ্রিত দুধ
নিউজ ডেস্ক(প্রীতি বসাক): চারিদিকে এখন করোনা সংক্রমণে জর্জরিত। এই অবস্থায় প্রত্যেকেরই দরকার ইমিউনিটি বৃদ্ধির। ইমিউনিটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম। হলুদের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক হলুদ মিশ্রিত দুধের উপকরণ এবং প্রস্তুতি পদ্ধতি।
উপকরণ:
কাঁচা হলুদ – এক ইঞ্চি (টুকরো করা)
দুধ- ২২০ মিলি
চিনি অথবা মধু – স্বাদ মতো
গোলমরিচ গুঁড়া – এক চিমটি
আদা – পরিমাণ মতো
প্রস্তুতি পদ্ধতি:
একটি পাত্রে হলুদ কুচি ও দুধ একসঙ্গে ফুটাতে হবে। তারপর ওভেন থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম থাকতে থাকতেই, মিশ্রণটি ছেঁকে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করুন হলুদ-দুধ। চাইলে কাঁচা হলুদের বদলে হলুদ গুঁড়া মিশিয়েও বানাতে পারেন হলুদ-দুধ।
উপকারিতা
১. ইমিউনিটি পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হলুদের গুরুত্ব খুবই উল্লেখযোগ্য। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন (Curcumin) নামক কম্পাউন্ড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণাবলীর জন্য সুখ্যাত।
২. ঠাণ্ডা লাগা দূর করে – হলুদে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দূর করে ঠাণ্ডা লাগা। এছাড়াও, গরম গরম হলুদ-দুধ সর্দি ও গলা ব্যথা উপশম করে।
৩. বাতের ব্যথা দূর করে – বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ-দুধ। এছাড়া মাংসপেশির নমনীয়তাও বাড়ায় এটি।
৪. হজম শক্তি বাড়ায় – হলুদমিশ্রিত দুধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়। হজমের গণ্ডগোল দূর করে দ্রুত হজমে সহায়তা করে এটি।
৫. ব্লাড সুগার কমায় – বেশীরভাগ সময় হলদি দুধে মধু বা চিনি দেয়া হয়। তাই ব্লাড সুগার কমানোর গুণাগুণ পেতে হলে এটা পান করতে হবে মধু বা চিনি ছাড়া।
৬. হলুদ দুধ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় – কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হলদি দুধের উপাদান, এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে আদার উপাদান ৬-জিঞ্জারলের (6-gingerol) আছে ক্যান্সার বিধ্বংসী গুণাগুণ।