বন্ধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় পুলিশ

0 0
Read Time:3 Minute, 1 Second

নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের জনস্বার্থ নীতির বিরুদ্ধে আজ দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ, মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের কৃষি আইন ও শ্রম আইন প্রভৃতি। এই একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলো। ধর্মঘট কে সমর্থন করেছে আইএনটিইউ সি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে জোর করে ধর্মঘট করার চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়াবে পুলিশ। সেই সূত্রে শহরে মোতায়ন করা হচ্ছে সাড়ে চার হাজার অতিরিক্ত বাহিনী।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এরা যে ধর্মঘট করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যেকোনো ধর্মঘটের বিরোধিতা করা হয় নবান্নের তরফে। জনজীবন সচল রাখতে অতিরিক্ত সরকারি বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

যদিও বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা তৃণমূলকে এই ধর্মঘটের বিরোধিতা না করে সমর্থন জানানোর আর্জি জানিয়েছেন। এমনিতেও ইস্যুগুলো নিয়ে তৃণমূলের বিরোধীতা রয়েছে। তবে দাবি আদায়ে ধর্মঘট কোন সঠিক পথ হতে পারে বলে মনে করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তারা স্থানীয় স্তরে প্রতিবাদ মিছিল করবে এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ধর্মঘট সফল করতে শহরে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে বাম সর্মথকরা। সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাদের কর্মসূচি।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে দমদমের কাছে কনিকা ঘোষ এর নেতৃত্বে জমায়েত করবে বামেরা। অন্যদিকে যাদবপুর ৮ বি থেকে সকালে মিছিল বার হবে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে। কেন্দ্রীয়ভাবে ধর্মঘটিরা মিছিল করবে এন্টালী মার্কেট থেকে। এছাড়াও গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার, ধর্মতলা,হাজরাতে ও মিছিল করবে বামেরা।

এদিকে ট্রেড ইউনিয়ন গুলি ডাকা ধর্মঘট এর মাঝেই এদিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস খোলা থাকবে। কর্মচারীদের অফিসে আসা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার অফিসে না গেলে কাটা হবে বেতন, এমনকি ছুটিও কাটা যাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!