করোনা মোকাবিলার অস্ত্র শরীরচর্চা
নিউজ ডেস্ক: বছর শেষ হতে চলল, কিন্তু করোনার প্রকোপ এখনো সচল। সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তাই সবার নিজেকে সচল রাখতেই হবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে। তবে ‘WHO’র তরফ থেকে বলা হয়েছে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট পর্যাপ্ত শারীরিক কসরত করতেই হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে। শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য এই কসরতের পরিমাণ দিনে অন্তত এক ঘণ্টা। আর মনে রাখতে হবে ‘এভরি মুভ কাউন্টস’ অর্থাৎ যা-ই করা হোক না কেন ‘সবকা হিসাব রাখখা জায়েগা’।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. অরিন্দম বিশ্বাস বললেন, “সাধারণ কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে শারীরিক ব্যয়াম করা খুবই জরুরি। তবে সকালে যেমন অনেকেই গ্রুপ করে মর্নিং ওয়াকে যান এই অবস্থায় তা যাওয়া যাবে না বলাই বাহুল্য। তার বদলে ছাদে বা বাগানে হাঁটতে পারেন। অথবা ঘরের মধ্যে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। কিন্তু হাঁটতে গিয়ে যাতে কোনওভাবেই ঠান্ডা না লেগে যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। আর মাস্ক ভুলবেন না।” স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম রহমানের কথায়, “করোনা মোকাবিলায় শারীরিকভাবে ফিট থাকা ভীষণ জরুরি। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য তো তা সম্ভব হবে না। একটা পর্যায় পর্যন্ত তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিয়ন্ত্রিত কিছু হালকা এক্সারসাইজ করতে পারেন। তবে নতুন মায়েদের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁরা ডেলিভারির একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ঘরের ভিতর বা ছাদে হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন ও মিনারেলস খাবারের মাধ্যমে নিয়ে ইমিউনিটি বাড়াতে পারেন তাঁরা।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোমোশন বিভাগে ডিরেক্ট রডিগার ক্রেচ জানান, শারীরিক কসরত না হলে তা রোগ বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। এর থেকে ক্যানসার কিংবা অ্যালঝাইমার্স সবকিছুই হতে পারে। আর শারীরিক কসরতে যেমন মানসিক উদ্বেগ কমে তেমনই স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। তাই যে কোন কিছুর ক্ষেত্রেই শরীরচর্চা হল খুবই উল্লেখযোগ্য। এর ভূমিকা অপরিসীম।