জানেন কি সর্দি কাশি কমাতে চকোলেট কতটা কার্যকরী? বিস্তারিত জেনে নিন
নিউজ ডেস্ক: সিজিন চেঞ্জের সময় কমবেশি আমরা সবাই অসুস্থ হই। সর্দি,কাশি ঘুসঘুসে জ্বর, গলা ব্যথা লেগেই থাকে। তার উপর আবার করোনার আতঙ্ক। এইসময় খুসখুসে কাশিতে অনেকেরই জীবন একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে।
এইসব ছোটখাটো মৌসুমী সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়োটিক, বা কাফ সিরাপে ভরসা করি। ফলস্বরূপ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর জিভের স্বাদ থাকে না, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু হাতের কাছে এমন একটা জিনিস আছে যার কথা আমরা জানিনা। আট থেকে আশি কমবেশি সবাই চকলেট খেতে ভালবাসি। বাড়িতে চকলেট আমাদের প্রায়ই থাকে। জানেন কি আপনার সর্দি, কাশির সময় আপনি যদি একটু চকোলেট খান তাহলে আপনাকে আর অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপের দ্বারস্থ হতে হবে না। নিমেষে চলে যাবে আপনার সর্দি কাশি।
অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে তো? কিন্তু এমনই দাবি করেছে একদল ব্রিটিশ গবেষক। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্দি কাশির সমস্যা নিরাময় একমাত্র অন্যতম ঔষধ হলো কোকোয়া। তাদের মতে বাজারে উপলব্ধ ডার্ক চকোলেটের মধ্যে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই উপাদানটি পারে সহজেই সর্দি কাশির হাত থেকে মুক্তি দিতে।
অধ্যাপক মরিচের মতে, চকোলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রোমিন নামে এক ধরনের বিশেষ উপাদান থাকে। যা সহজেই, আমাদের শ্লেষ্মা কে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিণত করে। ফলে সর্দি কাশির সমস্যা সহজেই মিটে যায়। এছাড়াও চকোলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্ত গলি ঢাকা পড়ে গিয়ে গলা খুসখুস এর সমস্যা কমে যায়।
লন্ডনের কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি কাশির ঔষধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকলেটে থাকা কোকোয়া অনেক বেশি কার্যকরী।
তাহলে এরপর থেকে সর্দি কাশি হলে কাফ সিরাপ এর বদলে খান চকোলেট।