কার্গিল যুদ্ধের পরিণতি “কার্গিল দিবস”
নিউজ ডেস্ক: ২৬ শে জুলাই সারা ভারত জুড়ে ছুটির দিন পালিত হয়। এই দিনটি কার্গিল দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ কার্গিল যুদ্ধে ২৬শে জানিয়ারী ১৯৯৯ সালে ভারত জয়ী হয় , পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে যুদ্ধ করে। যা সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সৈনিকদের কাছে এক বিরাট প্রাপ্তি।
প্রতিবছর এই দিনটিতে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে কার্গিল দিবস পালন করা হয়। ইন্ডিয়া গেটের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধে প্রাণ হারানো সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে এই অনুষ্ঠান করা হয়।
দীর্ঘ ৬০ দিন ধরে চলেছিল এই যুদ্ধ। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রচুর সৈনিক। কিন্তু তার ফল যে বিফলে যায়নি তা স্পষ্ট। পাকিস্তান সম্পূর্ণ কাশ্মীর অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে (ভারত-পাকিস্তান) স্বাক্ষরিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিল পাকিস্তান। ভারতবর্ষের কাছে এই লড়াই ছিল নিজেদের অঞ্চল ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যই। সেক্ষেত্রে জয়ী হওয়া তো আবশ্যিক ছিল ভারতীয় সৈনিকের কাছে।
কার্গিল যুদ্ধের ফলস্বরূপ, ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লাহোর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করে দুই প্রতিবেশী দেশ (ভারত ও পাকিস্তান)। একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি বদ্ধই হয়েছিল এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে। কিন্তু কবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা কারোর জানা নেই।
কার্গিল যুদ্ধের জয়ের জন্য ভারত সরকার ২ লক্ষ ভারতীয় সৈন্যকে একত্রিত করে এই যুদ্ধের জন্য পাঠিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫২ জন ভারতীয় জাওয়ান প্রাণ দেন দেশ রক্ষার জন্য।