করোনা আবহ কাটিয়ে দ: দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে মধু উৎপাদনের কাজ
ধ্রুবজ্যোতি মহন্ত, দক্ষিণ দিনাজপুর: কোরোনা আবহ কাটিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে মধু উৎপাদনের কাজ। সেই প্রাচীনকাল থেকে খাঁটি মধুর চাহিদা থাকলেও, বর্তমানে অনেকাংশেই বাজারে ছেয়ে গেছে নানান কোম্পানির নানা রঙে মোরা প্যাকেট ও জারে ভেজাল ও রাসায়নিক যুক্ত মধু।
তবে বিচক্ষণ মানুষজন বৈশিষ্ট দেখেই বরাবরই খাঁটি মধু যাচাই করে নেন।
প্রত্যেক বছর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী,গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি,হরিরামপুর,তপন সহ অন্যান্য ব্লকের বিস্তীর্ণ জমিতে প্রচুর পরিমাণে মধু চাষ করে থাকেন স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আগত মৌ-চাষিরা ।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উৎপাদিত খাঁটি মধু পৌঁছে যায় রাজ্য, দেশ সহ আন্তর্জাতিক বাজারেও। এবছর মার্চের শেষ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় সব কিছুর পাশাপাশি সমস্যা বেড়েছে মৌ-চাষিদের,লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি মৌ-চাষিরা ।পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মৌমাছির বাক্স নিয়ে গিয়ে এলাকাবাসীর বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।এছাড়াও মৌ-চাষিদের দাবী বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারে ভেজাল ও রাসায়নিক মধুর চক্করে অনেকাংশেই মিলছে না খাঁটি মধুর উপযুক্ত দাম।
যার জেরে প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যেও করোনা আবহ খানিকটা শিথিল হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন ব্লকে সর্ষের জমিতে শুরু হয়েছে মৌমাছি প্রতিপালন করে মধু উৎপাদনের কাজ।
এ প্রসঙ্গে মৌ-চাষি পরেশ মন্ডল বলেন “বিগত কয়েক বছর আগেও সরষে ফুলের খাঁটি মধুর যা দাম ছিল বর্তমানে বাজার ও কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে সেই দাম মিলছে না, এই মত অবস্থায় রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য পেলে আমরা মৌ-চাষিরা অনেকাংশেই উপকৃত হব।”