বিজেপির হাতে খুন মঙ্গলকোট বিধানসভার বুথ সভাপতি
নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাতে মঙ্গলকোট বিধানসভার নিগন অঞ্চলের ১৯৭ নম্বর বুথ সভাপতি কে পিটিয়ে খুন। এলাকায় চরম উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। তৃণমূল নেতার মৃত্যু হল বর্ধমান হাসপাতালে। ভোটের প্রাক্কালে প্রথম এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের নিগন এলাকায়। মৃত তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জিৎ ঘোষ। তিনি নিগন গ্ৰামের ১৯৭ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। বিজেপি দুষ্কৃতীদের হাতে আরো একজন জখম সংখ্যালঘু সেলের নেতা ইব্রাহিম শেখ জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কাটোয়া হাসপাতালে। যদিও বিজেপি অভিযোগ মানতে নারাজ। বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ঘোষ সামাগ্ৰিক ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে জানিয়েছেন। ঘটনার সুত্রে জানা গেছে , গতকাল বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ এর জনসভা ছিল ওই এলাকায়। সেখান থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। সেই ঘটনার জেরে আজকে নিজের বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সঞ্জিৎ ঘোষ বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘু সেলের নেতার মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি কিছুটা রক্ষা পান। অভিযোগ সঞ্জিৎ ঘোষকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধোর করে বিজেপি আশ্রিতরা। তারপরেই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান হাসপাতালে । সন্ধ্যার পর মৃত্যু হয় সঞ্জিৎ ঘোষের বলে জানা গেছে। মৃত্যুর খবর পৌঁছনোর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ সহ তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি অশান্তি তৈরীর জন্য এই ধরনের খুনের রাজনীতি কায়েম করেছে । এর বদলা রাজনৈতিক ভাবেই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গোটা এলাকা থমথমে। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলে দাবী করেছেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা । ঘটনার খবর পেয়ে মৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি এসে পৌঁছায় মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক ও তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা মেহেবুব চৌধুরী, নিগন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধ্রুব ভট্টাচার্য।