সরস্বতী পুজো
নিউজ ডেস্ক: বারো মাসে তেরো পার্বণে অন্ত নেই। আরিফ আর বোনের মধ্যে অন্যতম এক পার্বণ বা উৎসব সরস্বতী পূজা। স্বরসতী পূজাকে কেন্দ্র করে বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দ উত্তেজনার অভাব নেই। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে আনন্দের অন্ত নেই। ছোটবেলায় সকালবেলা বাড়িতে কিংবা পাড়ার প্যান্ডেলে অঞ্জলি দিয়ে নতুন হলুদ রঙের সেরা পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা শাড়ি পড়ে বাবা মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাওয়া স্কুলের দেবের দর্শন করার এবং স্কুলে বসে খাওয়াদাওয়া করা কিংবা স্কুল থেকে দেওয়া খাবারের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে থেকে একসময়ে একা একা বন্ধুদের সঙ্গে শাড়ি কিংবা ছেলেদের পাঞ্জাবি পড়ে বন্ধুদের ঘুরতে যাওয়ার স্কুলে যাওয়ার দিন গুলোর মধ্যে যে বড় হয়ে ওঠা তা স্পষ্ট ধরা পড়ে সরস্বতী পূজার দিনেই।
ফুলের মাঝে বয়সী ওই সরস্বতী পুজোর আনন্দ তাই যেন এক আলাদা আমেজ নিয়ে আসে। স্কুল থেকে দেওয়া সরস্বতী পূজার নিমন্ত্রণ পত্র নিয়ে পাশাপাশি স্কুলগুলোতে যাওয়া এবং স্কুল হোলি কে আমন্ত্রণ পত্র দেওয়ার মধ্যে ও লুকিয়ে থাকে এক ধরনের আনন্দ।
এই দিনগুলোকে পিছনে ফেলে বড় হয়ে ওঠা এবং অফিস যায় পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ফেলার পর সেই সময় সরস্বতী পূজার আমেজটা অন্যরকমভাবে অনুভূত হয়। শুধুমাত্র বন্ধুদের সঙ্গে বছরের ওই একটা দিনই দেখা হওয়ার সুযোগ বিশেষ করে স্কুল তার সঙ্গে বছরে একদিনই দেখা করার সুযোগ পায় যুবক যুবতীরা। যত সময় এগোয় বয়সের করা যত নিরে নিরে এগিয়ে যায় ততোই বোঝা যায় ছেলেবেলা সরস্বতী পুজো তা একেবারেই অন্যরকম ভালোবাসা , বার্তা, বিশেষ করে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসত। যে স্বাদ হয়তো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে থাকে।