আত্যহত্যা পাত্রীর বাবার
নিউজ ডেস্ক: মেয়ের বিয়ের টাকা জোগারের চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পাত্রীর বাবা। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পাত্রী পারুল দেবশর্মা। বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিন্তু বিয়ে আটকায় নি। কিন্তু বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল নববধূর। মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দক্ষিন কসবা গ্রামে। মৃতা নববধূর পারুল দেবশর্মার বয়স আঠারো বছর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে । স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন মাড়াইকুড়া পঞ্চায়েতের দক্ষিন কসবা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় লটারি বিক্রেতা উত্তম দেবশর্মার মেয়ে পারুল দেবশর্মার বিয়ে ঠিক হয় হরিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বর্মনের সঙ্গে । হতদরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা উত্তম দেবশর্মা বিয়ের সমস্ত খরচ ধার দেনা করে জোগার করে চরম মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন । বিয়ের আগের দিন রাতে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন উত্তম বাবু। কিন্তু পরিবারের লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে ৪ ফেব্রুয়ারী নির্ধারিত সময়ে উত্তম বাবুর মেয়ে পারুলের বিয়েও হয়ে যায়। বিয়ের পরদিন হরিগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় পারুলের। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতা নববধূ পারুল দেবশর্মার আত্মীয় স্বজনদের মতে বাবার এই ধরনের ঘটনা মেয়ে পারুল সহ্য করতে পারে নি। অনুমান মানসিক অবসাদ থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মেয়েটি। বিয়ের আগের দিন রাতে নববধূর বাবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা এবং বিয়ের পরদিন সেই নববধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।