বাঙালি ও অবাঙালি সংস্কৃতির সরস্বতী পুজো
নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো বাঙালির উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের কাছে সরস্বতী পুজো মানেই এক অন্য ধরনের উচ্ছ্বাস , আনন্দ। প্রাচীনকাল ধরে চলে আসছে খড়ি দিয়ে তার পড়াশোনার জীবনের সূচনা করে। ঐ ছোট্ট শিশুটি যে বছর থেকে হাতে খড়ি দেয় তার পরের বছর থেকেই যত বছর সে পড়াশোনা এবং শিক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকবে তত বছর তাকে বিদ্যার দেবীর কাছে অঞ্জলি প্রদান করতে হবে। বাঙালির চিরাচরিত নিয়ম শুধুমাত্র আর বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে নেই। এই সরস্বতী পুজোর দিন বিদ্যার দেবীর কাছে আরাধনা করা নিজের বিদ্যার জন্য প্রার্থনা করা সবই এখন বাঙ্গালীদের পাশাপাশি অবাঙালিদের একটা সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে। এদিন তারাও বাঙ্গালীদের মত সরস্বতী পুজোর সকালে গায়ে হলুদ মেখে স্নান করে বিদ্যার দেবীর কাছে অঞ্জলি প্রদান করে এবং বন্ধুদের সাথে স্কুলে স্কুলে কিংবা কলেজে করেছে ঘুরে বেড়ায় । এমনকি অঞ্জলি দেওয়ার আগের দিনও তারা বাঙ্গালীদের মতনই নিরামিষ খাবার খান। একটি বাঙালি-অবাঙালি মিলেমিশে সরস্বতী পুজা উদযাপন এই রেওয়াজ দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা জানি আমাদের পশ্চিমবঙ্গ হল এমন একটা জায়গা যেখানে বাঙালি ও বাঙালি হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান প্রতিটা ধর্মপ্রতিষ্ঠার সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়ে একে অপরের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার প্রবণতা।
তাই কলকাতায় বসবাসরত হিন্দু বাঙালি ছাড়াও অন্যান্য অবাঙালিদের বাড়িতেও বিদ্যার দেবীর আরাধনা লক্ষ্য করা যায়। তবে বাঙ্গালীদের মত তাদের মধ্যে ছিল না পুজোর আগের দিন নিরামিষ খাওয়া কিংবা পুজো দিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার প্রবণতা। যেগুলো তারা এখন বাঙালি কালচারে থেকে সেই সকল নিয়ম পালন করে থাকেন।