আইপিএলের খেলোয়াড়দের নিলামি
নিউজ ডেস্ক: এবার যে প্লেয়াররা নিলামের উঠবেন তাঁদের চূড়ান্ত তালিকা গত ১১ ফেব্রুয়ারি আইপিএল বোর্ড প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন ২৯২ জন ক্রিকেটারের নাম, যাঁদের মধ্যে ১৬৪ জন ভারতের, ১২৫ জন বিদেশী ও তিন প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির। ১২ জন প্লেয়ারের বেস প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে দেড় কোটি টাকা। যে ১১ জন খেলোয়াড়ের বেস প্রাইস ১ কোটি টাকা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই ভারতীয় যথা হনুমা বিহারী ও উমেশ যাদব। স্টিভ স্মিথকে নিয়ে বিডিং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরু করলেও। ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলেন ক্রিস মরিস। ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনল রাজস্থান রয়্যালস। এর আগে ১৬ কোটি টাকা দাম পেয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। তিনিই ছিলেন সবচেয়ে দামি প্লেয়ার।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বেশ দরাদরি করলেও। শেষ পর্যন্ত ১৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনল আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর)বাংলাদেশের অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানকে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় কিনল কলকাতা নাইট রাইডার্স।৭ কোটি টাকায় মঈন আলিকে কিনল চেন্নাই সুপার কিংস।৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় রাজস্থান রয়্যালস কিনল শিবম দুবেকের মতো খেলোয়াড়কে।দেড় কোটি টাকায় দাভিদ মালানকে কিনল পঞ্জাব কিংস।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুবারের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে ফের কিনল কেকেআর। নিলামের বিরতিতে কেকেআরের ব্যাটিং পরামর্শদাতা অভিষেক নায়ার বললেন, কেকেআরের রসায়ন জানেও। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। শাকিব নেতৃত্ব দিতেও ভালো জানে। সেক্ষেত্রে ওকে দলে নেওয়া অনেকটাই উপকারী।
নিউজিল্যান্ডের পেসার অ্যাডাম মিলনেকে নিয়ে দরাদরির পর ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১ কোটি টাকায় বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে কিনল রাজস্থান রয়্যালস।ঝাই রিচার্ডসনকে নিয়ে দর কষাকষি পঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ন্যূনতম দেড় কোটি টাকা থেকে উঠেছিল সে। শেষ পর্যন্ত টাকায় তাঁকে ১৪ কোটি টাকায় কিনল প্রীতির পঞ্জাব কিংস। নাথান কুল্টার নাইলকে ৫ কোটি টাকায় কিনল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।ভারতীয় দলের পেসার উমেশ যাদবকে ১ কোটি টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস। স্পিনার পীযূষ চাওলার ন্যূনতম মূল্য ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে দড়ি টানাটানি হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের। শেষ পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১ কোটি টাকা দাম পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।২০ লক্ষ টাকায় সচিন বেবিকে কিনল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় রজত পতিদারকে কিনল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।২০ লক্ষ টাকায় রিপল পটেলকে কিনল দিল্লি ক্য়াপিটালস।
বেস প্রাইস ছিল মাত্র ২০ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় শাহরুখ খানকে কিনল প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব কিংস।
কে গৌতমের ন্যূনতম দর ছিল ২০ লক্ষ টাকা। তাঁকে নিয়ে দড়ি টানাটানি হল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। শেষ পর্যন্ত বাজি মারল চেন্নাই সুপার কিংস। ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনল ধোনির দল। বিষ্ণু বিনোদকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনল দিল্লি ক্য়াপিটালস। শেলডন জ্যাকসনকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনল বিরাট কোহলির আরসিবি। লুকমান হোসেন মেরিওয়ালাকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস। চেতন সকরিয়াকে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস। ৮ কোটি টাকায় রিলে মেরিডিথকে কিনল পঞ্জাব কিংস। এম সিদ্ধার্থকে তার, বেসপ্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস।
জগদীশ সুচিথকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন সেই কে সি কারিয়াপ্পাকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস। ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় রাজস্থান রয়্যালস কিনেছে শিবম দুবেকে। তিনি বলেছেন, আরও ভাল পারফর্ম করতে চাই। নেটে জোফ্রা আর্চারের বোলিং খেলতে পারব। তাতে নিজের ক্রিকেটকে আরও ঘষামাজা করে নিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। গতবারের আইপিএলে অবিক্রিত ছিলেন। সেই চেতেশ্বর পূজারাকে ৫০ লক্ষ তার বেস প্রাইজেই টাকাতেই কিনল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
এই বছর অবিক্রিত থেকে গেলেন হরভজন সিংহ। এছাড়াও দল পেলেন না শেলডন কটরেল, মুজিব উর রহমান।