বিশ্বভারতী থেকে শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের নতুন শিক্ষানীতির পক্ষে প্রশ্ন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বললেন, আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য নতুন শিক্ষানীতি জরুরি। ভারতের বর্তমান শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দিচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে নতুন শিক্ষানীতি জরুরি। এদিন নতুন গবেষণার জন্য আগামী ৫ বছর ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন প্রধানমবন্ত্রী। এ বিষয়ে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষায় সামিল করা হবে ছাত্রীদেরও। ডিগ্রি কোর্স থেকে বিরতি নেওয়ারও স্বাধীনতা থাকছে।
এদিন ভারতের শিক্ষার ইতিহাস মনে করিয়ে মোদিজি বলেন, ২০০ বছর আগে ভারতে শিক্ষিতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তখন মন্দিরেও শিক্ষাদান হত। তখনকার দিনে রাজারা মহাবিদ্যালয় গড়তেন। তখনকার ভারতে উচ্চশিক্ষার সংস্থানও ছিল। তিনি বলেন, ১৮৩০ সালে বাংলা-বিহারে এক লক্ষের উপর গ্রামীণ বিদ্যালয় ছিল। বিশ্বভারতীতে গুরুদেবের শিক্ষানীতি, ভারতকে আধুনিক বানিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে নাম না করে শিক্ষানীতির বিরোধিতা করায় বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও পিছুপা হলেন না প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে বললেন, জ্ঞান ও ক্ষমতা আসে দায়িত্ববোধ থেকে। ক্ষমতায় থাকলে সংযমী ও ধৈর্যশীল হওয়া জরুরি। দেশকে অগ্রাধিকার দিলে, সমস্যার সমাধান আপনিই খুঁজবেন। সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যুবক সম্প্রদায়ের। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেব আমরা।