চিকিৎসায় দেরি,মহকুমা হাসপাতালে ব্যাপক বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর-সাড়ে তিন বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তপ্ত দুর্গাপুর।দুর্গাপুর নগর নিগমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোসাঁইনগরের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বাবু ঘোষ নামে এক পড়শীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই বাবু ঘোষের স্ত্রী ভগবতী ঘোষ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে জানা গেছে আর এই সূত্র ধরে এলাকায় নাকি দাপিয়ে বেড়াতো অভিযুক্ত বাবু ঘোষ অন্ততঃ এমনটাই অভিযোগ গোসাঁইনগর এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে তড়িঘড়ি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়,কিন্তু বুধবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা শুরু না হওয়াতে বিপত্তি বাঁধে, ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুর আত্মীয়রা, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিজেপি নেতৃত্ব, কেন চিকিৎসা শুরু হতে এত দেরী এই প্রশ্ন তুলে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মী সমর্থকরা, তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ভেতর, শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের এই আঁচ আছড়ে পড়ে হাসপাতাল সুপার ধীমান মন্ডলের চেম্বারে, চিকিৎসা শুরু হতে দেরী হওয়ার কারণ নিয়ে চলে তুমুল বিক্ষোভ। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত্রি থেকে শিশুটিকে চিকিৎসা করা হয়নি, ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা অথচ হুঁশ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।শিশুটির মায়ের অভিযোগ, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চিকিৎসা না করে মঙ্গলবার রাত্রি থেকে ফেলে রেখে দিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, প্রমান লোপাটের জন্য তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে এই কাজ করেছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর দিদি বলছে সব কাজ করে ফেলেছি, আর সেই দিদির রাজ্যে আজ মেয়েদের সন্মান নেই। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীমান মন্ডল কার্যতঃ হাসপাতালের ব্যার্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত কমিটি করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোটা ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে, পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতির।