নির্বাচনের সময় সীমানা যেন বন্ধ থাকে
নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়া কাশিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সভা মঞ্চ থেকে আবারও বিজেপি কে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, অনেক মিথ্যে কথা বলেছে বিজেপি। সব কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। রেলের বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে। আমরা করতে দেব না। আন্দোলন করব। পুরুলিয়া ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে আগামী এক বছরের মধ্যে জল পৌঁছে দেব। ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে মাটি সৃষ্টি প্রকল্প হবে। জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী দিনে ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রঘুনাথপুরে তৈরি হচ্ছে জঙ্গলমহল সুন্দরী। ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কয়েল লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, পুরুলিয়ায় টিলা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, আমি তাই বলেছি, আদিবাসীদের মতামতের বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না। লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সব ব্যবস্থা করেছি। হাতে টাকা দিয়েছি, খাবার পৌঁছে দিয়েছি। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও ট্যাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বার আমাদের সরকার জিতলে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে দরজায় দরজায়, দোকানে যেতে হবে না। মে মাস থেকে সব মহিলাদের ৫০০ টাকা দেব, কৃষকদের একর প্রতি ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কৃষক মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা। এ বার সরকার এলে এক একর জমি প্রতি টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। পড়ুয়াদের জন্য ব্লকে ব্লকে ইংরাজি মাধ্যম মডেল স্কুল। মণ্ডল কমিশনের সবাইকে ওবিসি-তে তালিকাভুক্ত করা হবে আগামীদিনে। কমিটি করবে রাজ্য সরকার। আদিবাসীদের জমি কাড়া চলবে না। ৫ লক্ষ ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। ছৌ গিয়েছিল প্যারিসে, তাঁরা প্রথম হয়ে এসেছে। পলাশ ফুলে আবির তৈরির কারখানা হতে পারে, রং তৈরির কারখানা হতে পারে। অযোধ্যা পাহাড়ে চারিদিকে রাস্তা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া নিয়ে তৈরি হবে সার্কিট।
জনসভা থেকে তিনি জানিয়েছেন, তফশিলি আদিবাসীদের ৬০ বছর বয়স হলেই ভাতা। লোকপ্রসার শিল্পীদের ভাতা। বিধবাদের ভাতা দেওয়া হবে। নিজের ভোট নিজেকে রক্ষা করতে হবে। বিজেপি-র দেওয়া খাবার খাবেন না। ওদের সঙ্গে অনেক এজেন্সি আছে। কেন এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন সরকারের আওতায় থাকবে না। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। আমাকে অনেক মেরেছে। এ বার আমার পায়ে মেরে ভেবেছিল আমাকে আটকে দেওয়া যাবে। কিন্তু আমি মায়েদের পায়ে হাঁটব। রাজ্যের প্রত্যেকটি সীমানা বন্ধ করতে হবে নির্বাচনের সময়। না হলে ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢুকবে।