রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ক্ষেত্র
নিউজ ডেস্ক: জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতেই জন্ম নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব। যৌবন এবং পরবর্তীকালেও অনেকটা সময় তিনি এই বাড়িতে থেকেছেন। কখনও শিলাইদহ, কখনও শান্তিনিকেতনে বাস করেছেন, কখনও বা ঘুরে-বেরিয়েছেন দেশে-বিদেশে। কিন্তু বাড়িকে ভুলতে পারেননি। এমনকি বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ হয় এখানেই।
কলকাতার জোড়াসাঁকোয় অবস্থিত ঠাকুর পরিবারের বাড়িটি এক সময়ে ছিল আধুনিক বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। জোড়াসাঁকোর জমিতে দ্বারকানাথ তৈরি করেছিলেন ‘ভদ্রাসন বাড়ি’, যেখানে ১৮৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন। সেটি এখন ‘মহর্ষি ভবন’ নামে পরিচিত। ১৮২৩ সালে পাশ্চাত্যের অতিথিদের জন্য দ্বারকানাথ ‘বৈঠকখানা বাড়ি’ নামে আরেকটি ভবন তৈরি করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে ‘মহর্ষি ভবন’-এর পশ্চিমে ‘বিচিত্রা ভবন’ তৈরি করিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
স্বাধীনতার পর জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িকে অধিগ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬২ সালে স্থাপিত হয় রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়াম। বিটি রোডে যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের মরকত কুঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে সত্তরের দশকে। জোড়াসাঁকো থেকে বিভিন্ন বিভাগ সরিয়ে নেওয়া হয় সেখানে। গোটা ঠাকুরবাড়ি জুড়েই সংগ্রহশালা গড়ে ওঠে।