ভোট-পরবর্তী হিংসার কবে কমবে! শান্তির খোঁজে মানুষ
নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের ২ মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা রাজনৈতিক পরিস্থিতি। যেখানে বিজেপি নেতৃত্বরা আশা করেছিল তারা ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবেন, তার পরিবর্তে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়ল তৃণমূল শিবির। তারপর থেকেই মূলত বাড়িতে, পাড়ায় থাকতে পারছেন না বিজেপি কর্মী সমর্থকরা, বিজেপি নেতৃত্বরা। কাউকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মেরে, কাউকে আবার ভয় দেখিয়ে বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কেউ আবার ভয়েতেই বাড়ি ছাড়া। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলার এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটগণনা শেষ হওয়ার পর রাজ্যের নানা প্রান্তে হিংসার আবহে সবাইকে রাজধর্ম পালনের আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেও হিংসা বন্ধে নিজের দলের কর্মীদের শান্ত ও সংযত থাকার আবেদন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
যদিও তৃণমূল শিবির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, করোনা মোকাবিলায় এবং বাংলায় শান্তি বজায় রাখার জন্য বারবার বার্তা দিয়েছেন। দফায় দফায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। যার প্রতিবাদে বিজেপি নেতারা ধর্ণাতেও বসেন কলকাতায়। তারপরই ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব নেয় তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্ব কুণাল ঘোষ, তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এলাকার অশান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই অশান্তির জেরে মৃতদেহের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতি আগের তুলনায় খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শান্তিপ্রিয় বাংলার মানুষ এই রাজনৈতিক হিংসা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চায়। আশা করা যাচ্ছে খুব জলদি এই সমস্যার, এই হিংসার সমাধান ঘটবে।