আবারো মর্মান্তিক ঘটনা অন্ধপ্রদেশ
নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেন। আর এই অক্সিজেনের অভাবে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। কেউ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। কারোর বাড়িতেই মৃত্যু হচ্ছে। কারোর আবার হাসপাতালে অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে মৃত্যু হচ্ছে। ঠিক সেই রকম একটি ঘটনা ঘটল অন্ধপ্রদেশে। গত কাল অর্থাৎ সোমবার অন্ধপ্রদেশ তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর রাম নারায়ন ভুইয়া সরকারি হাসপাতালে ১১ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর হয়। অভিযোগ উঠেছে ৪৫ মিনিট ধরে অক্সিজেনের সরবরাহ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার কারণে আইসিইউতে থাকা রোগীরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাননি। তার ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অন্ধপ্রদেশের জেলাশাসক দাবি করেছেন কয়েক মিনিট মাত্র বন্ধ ছিল। চেন্নাই থেকে অক্সিজেনের ট্রাক আসছিল। তা আসতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। তার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। যদিও এর থেকে বড় ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু চিকিৎসকদের তৎপরতায় তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ছে। জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, অক্সিজেনের এর চাপ কমে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের অক্সিজেন চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সেইসময় ১১ জন রোগী তাদের প্রাণ হারিয়েছেন।
তার এই মন্তব্যের পরই সারা দেশজুড়ে উঠেছে প্রশ্ন। ১১ জন রোগীর মৃত্যুকি যথেষ্ট নয়? এটা কি কোন বড় বিপর্যয়ের নয়? আর এরপরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমোহন রেড্ডি উচ্চপর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ৩০ জন চিকিৎসক আইসিইউতে পৌঁছে যান, রোগীদের দেখার জন্য। অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছিল তা নয়, সমস্যা হয়েছিল সাপ্লাই এর। কয়েক মিনিটেই তা ঠিক করে দেওয়া হয়। তবে ওইটুকু সময়ে বিপদজনক অবস্থায় থাকা ১১ জন রোগী শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন।