ইজরায়েলি হামলার বিরতি ঘোষণা
নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে ইজরায়েলের হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে টানা ১১ দিন পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। যা গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে। ইজরায়েলের বেশিরভাগ স্থায়ী মানুষের জীবনকে অস্থির করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতা নিয়াহুর মন্ত্রিসভা গতকাল গভীর রাতে বৈঠক শেষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। তারপরই একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান ও জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টাসহ, উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা এই অভিযানের দুর্দান্ত সাফল্য লাভ করেছে।
সুরক্ষা মন্ত্রিসভার এক সদস্য বলেছেন, এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার প্রায় তিন ঘন্টা পরে, সকাল ১১ টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি কারোর নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তবে, হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধের বিরতি ঘোষণা নেতানিয়াহুর কাছে পরাজয় এবং “ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে একটি জয়।
গত ১০ মে থেকে এই লড়াই শুরু হয়েছিল। যখন গাজার হামাস জঙ্গিরা জেরুজালেমের দিকে দীর্ঘ দূরত্বে রকেটগুলো চালিয়েছিল ইহুদি ও মুসলমানদের জন্য পবিত্র একটি ফ্ল্যাশপয়েন্ট সাইট, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তানি বিক্ষোভকারী ও ইজরায়েলি পুলিশের মধ্যে কয়েকদিনের সংঘর্ষের পরে।
ইজরায়েল এই অপারেশন চলাকালীন কয়েকশো বিমান হামলা চালিয়েছিল। হামাস ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি, আবাসিক অঞ্চলে এমবেডেড ইজরায়েলি শহরগুলিতে ৪,০০০ রকেট নিক্ষেপ করেছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, কমপক্ষে ২৩০ জন ফিলিস্তানি মারা গেছেন, যার মধ্যে ৫ জন শিশু এবং ৩৯ জন মহিলাসহ ১১০০ জন আহত হয়েছে।হামাস ও জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে যে, তাদের কমপক্ষে ২০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল বলেছে যে এই সংখ্যা কমপক্ষে ১৩০ জন। প্রায় ৫৮,০০০ ফিলিস্তানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
ইজরায়েলের বোমা হামলায় ফিলিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অর্ধশতাধিক স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ছয়টি স্কুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। যার জেরে প্রায় ৪২০০০ শিশুদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। ইজরায়েলের হামলার ফলে কমপক্ষে ১৮ টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং একটি সুষ্ঠ স্বাস্থ্য কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।