ইয়াস মোকাবিলায় জরুরি তৎপরতা প্রশাসনের
আগামী বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে, তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জারি করা হয়েছে প্রবল সর্তকতা। গত শনিবার বিকেল থেকেই দিঘা-গঙ্গাসাগরে মৎস্যজীবীদের নৌকা নামাতে নিষেধ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাঙা বাঁধ সারানোর কাজ চালু করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতেও চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। রায়দিঘির বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে প্রচার চালানো হচ্ছে। সমুদ্র যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন বন্দরে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য মৎস্য দফতর। ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে ঘুরে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেন মত্স্য দফতরের আধিকারিকরা। নদী বা সমুদ্রে কোনও নৌকা বা ট্রলার রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার ব্লকে জি ও এল প্লট দ্বীপে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমুদ্র বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
ওদিকে, দিঘা উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় চলছে সতর্কতা মূলক প্রচার। মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সমুদ্র থেকে তুলে দূরে রাখা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসে চলছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক আলো। বাঁধ ভাঙা অথবা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে এই আলো ব্যবহার করা হবে।
রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুদিনের অক্সিজেন পরিষেবা আগে থেকেই মজুত রাখতে। অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে যথাযথ থাকে, তার জন্য অতিরিক্ত জেনেটার মজুত রাখতে বলা হয়েছ।