প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ফেটে পড়লেন করোনায় মৃত শিশু কন্যার বাবা
নিউজ ডেস্ক: আজকে যদি আপনি থাকতেন আমার এই দশা হতো না। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতাম। কিসের জন্য আপনি ছাড়লেন, কত মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন আপনি । আমি তো পারলাম না মেয়েকে বাঁচে আনতে । করোণা আক্রান্তে প্রয়াতঃ ১৪ বছরের শিশু কন্যা অঙ্কিতা সেনের পিতা এভাবে আর্তনাদ, প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে কাছে পেয়ে। প্রয়াত অঙ্কিতা সেনের বাবা মায়ের আর্তনাদ বাড়িতে উপস্থিত প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন থেকে শুরু করে চোখ সবার চোখের এক কোনে জল ঝরে পরলো একটা সময় । বন্ধুর নাম সুদীপ এই বিধায়ক অনুগামীরা করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি জারি রেখেছে , কখনো কোভিদ সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে আবার কখনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছে বিপন্ন মানুষের কাছে । আরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিলোনিয়াতে ছুটে আসেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ আশিস সাহা । শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ বিলোনিয়া সফরে এসে প্রথমেই বিলোনিয়া পৌর পরিষদের বাশ পাড়া কলোনি এলাকায় গিয়ে দেখা করেন বিলোনিয়া সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা প্রয়াতঃ অঙ্কিতা সেনের পরিবারের সাথে । অঙ্কিতা সেনের পরিবারের লোকেরা বিধায়ক তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন সহ বিধায়ক আশিস সাহাকে দেখতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে প্রয়াত অঙ্কিতার পিতা উত্তম সেন । সেখানে তাদেরকে সমবেদনা জানানোর পর ছুটে আসে একই এলাকার করোনা আক্রান্তে প্রয়াতঃ নির্মল সাহার বাড়িতে সেখানেও প্রয়াতঃ নির্মল সাহার পত্র শ্রী সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়ে বাঁশ পাড়া থেকে কালিনগর এলাকার প্রয়াতঃ অভিজিৎ সিনহার বাড়িতে চলে আসেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান অভিজিৎ সিনহা। আই আই টি প্রফেসর ছিলেন অভিজিৎ সিনহা। কর্মস্থল মিজোরামেই হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রফেসর অভিজিৎ সিনহা। এই অভিজিৎ সিনারিও মা বাবার সাথে কথা বলে সমবেদনা জানানোর পর সেখান থেকে দেড়টা নাগাদ আবার আগরতলা উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ ও আশিষ সাহা।