নদী বাঁধ নিয়ে আশঙ্কিত সাধারণ মানুষ
নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবনের পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে ইছামতি নদী পাড়ের মানুষ। ইছামতি নদী গর্ভে বহু বাড়িঘর চলে গিয়েছে অসহায় মানুষের বাঁধ পাহারা দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
ইয়াস ও পূর্ণিমার ভরা কোটাল পরবর্তী সুন্দরবনের বাঁধ নিয়ে মানুষের দুর্দশার ও আক্ষেপের কথা আমরা একাধিকবার তুলে ধরেছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইয়াস পরবর্তী হিঙ্গলগঞ্জের রিভিউ মিটিং এ বাঁধ সংস্কার নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। সেই বাঁধ নিয়েই সুন্দরবনের পাশাপাশি একইরকম ছবি এবার দেখা গেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম আখারপুরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। আম্ফানের সময় থেকেই এখানে বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে এই সীমান্তবর্তী এলাকা। গাছা, আখারপুর, পানিতর ও ইটিন্ডা সহ একাধিক সীমান্তবর্তী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নদীর করাল গ্রাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আম্ফানের পর থেকে তো বটেই বিশেষ করে ইয়াসের পর থেকে কাঁচা বাঁধ পাহারা দিতে নিদ্রাহীনতায় রাত কাটছে এই গ্রামের মানুষদের। আম্ফানের পরে একাধিক ভরা কোটালের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল ওই গ্রামগুলি। বাঁধ ভেঙে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে, বাঁধ ভেঙে বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। তারপর থেকে তাদের বস বাস পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বা কেউ চলে গিয়েছেন নিকটবর্তী আত্মীয়ের বাড়ি। আবার এক ঝড় এলো সাথে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। সেই সময় নদীর প্রবল জলোচ্ছাসে ভেসে গিয়েছে আখারপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। সমাধানের রাস্তা একটাই কংক্রিটের বাঁধ। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ জমছে স্থানীয়দের মনে। প্রশাসন বারবার বাঁধ সংস্কার করার কথা বলছে কিন্তু সেটা পুরোপুরি সুন্দরবন কেন্দ্রিক। কিন্তু সীমান্তের এই মানুষগুলির দুর্দশাও সুন্দরবনের থেকে কোনো অংশে কম নয়। তাই সীমান্তবাসীরা দাবি করছেন তাদেরকে কংক্রিটের বাঁধ করে দেওয়া হোক। যাতে তারা প্রবল জলোচ্ছাস থেকে বাঁচতে পারে এবং যে সমস্ত বাড়িগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে সেগুলিও বাঁচবে।