পুরীর রথ যাত্রার ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষে রথযাত্রায় সবথেকে প্রসিদ্ধ স্থান হল উড়িষ্যা রাজ্যের পুরী শহরের জগন্নাথ দেবের মন্দির। জগন্নাথ ধাম পুরি ঘিরে রয়েছে একাধিক রহস্যময় কাহিনী। সামনেই চলতি বছরের রথযাত্রার অনুষ্ঠান। উড়িষ্যার প্রাচীন পুঁথি ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ অনুযায়ী সত্যযুগ থেকে চালু হয়েছে এই রথযাত্রার উৎসব। সেই সময়ে উড়িষ্যার নাম ছিল মালব দেশ। সেই সময় সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্ন পেয়েছিলেন বিষ্ণু মন্দির গড়ার। সেইমতো রাজা আদেশ পালন করেছিলেন। কিন্তু মন্দির কেমন হবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা রাজার কাছে ছিল না। স্থাপিত হয় মন্দির। সেখানে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা মূর্তি তৈরির ভার দেওয়া হয় বিশ্বকর্মাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মাকে অসন্তুষ্ট করে ফেলেন ইন্দ্রদ্যুম্ন। যার কারণে দেবদেবীদের সম্পূর্ণ মূর্তি তৈরি হলেও তাদের হাত তৈরি হয় না।
পুরান মতে কথিত রয়েছে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে দাদা জগন্নাথ ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে দেখতে যান। সেই উপলক্ষে গুন্ডিচা মন্দির জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা আয়োজন করা হয়। এই যাত্রাকে সোজা রথযাত্রা বলা হয়। তার ঠিক সাত দিন পর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা কে আবার মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। যাকে উল্টোরথ বলে। যদিও বর্তমানে বলা হয় যে মাসির বাড়ি যাত্রা করছে তিন ভাইবোন।
পুরীর গুন্ডিচা মন্দির এর রথযাত্রা উৎসব আনুমানিক ৭০০ বছরের পুরনো। এই যাত্রা দুটি ভাগে বিভক্ত। দুটি ভাগে তিনটি করে মোট ছয়টি রথ বের হতো। সত্যযুগে রথযাত্রায় সময় রাস্তায় পড়তো বলা গুন্ডি নালা। যার কারণে সমস্যায় পড়া হতো। এবং সেই কারণেই ছটি রথ বের করা হতো। কিন্তু রাজা কেশরী নরসিংহের আমলে সেই নালা বন্ধ করা হয়। তার পর থেকে পুরীর রথ যাত্রায় তিনটি রথের ব্যবহার করা হয়।