গত বছরের মতো এবারও ভাটা পড়েছে জগন্নাথের রথযাত্রায়

0 0
Read Time:3 Minute, 53 Second

নিউজ ডেস্ক: আজ পূর্ণ রথযাত্রা উৎসব। সুসজ্জিত রথে চেপে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা যাত্রা করেন মাসির বাড়ি। স্নান যাত্রা সেরে শুরু হয় রথের প্রস্তুতি। রথ উপলক্ষে চলে মেলায় মেলায় নাগরদোলা, জিলিপি, পাপর ভাজার হিড়িক। কিন্তু এবারে সব উত্তেজনা যেনো স্তিমিত হয়ে গেছে, অতিমারির আবহে ছেদ পড়েছে প্রাণের উৎসবে।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বিগত বছরের মতো এবারও একই বিধিনিষেধ। যদিও মহামারীর দাপট কিছুটা কমেছে তবু সচেতনতা তো থাকবেই। পুরীর মন্দিরে জারি রয়েছে ৪৮ ঘণ্টার কারফিউ।সমস্ত হোটেল, লজ কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে সেগুলি খালি করে দেওয়ার জন্য। রীতি মেনে পুজো অর্চনা হলেও দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দির কক্ষে, ২৪ ঘণ্টা হেল্প লাইন নম্বর খোলা হয়েছে ওড়িশা সরকারের তরফে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই মন্দিরের পুরোহিতরা রথের রশি টানার অনুমতি পাবেন।

একই চিত্র ধরা পড়েছে হুগলি জেলার মাহেশে। দুই দশকের পুরোনো এই প্রসিদ্ধ রথ দেখতে ও টানতে ভিড় জমাতেন লক্ষ লক্ষ পূর্নার্থী। কিন্তু এবার তাতেও কড়াকড়ি কোনো উদযাপন হবে না এবার। শুধু মাত্র রথে চরে মাসির বাড়ি যাবেন প্রভু চলবে ভোগরাগ, আর আড়ম্বরহীন পুজো।

একই অবস্থা মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ীর রথযাত্রায়। সেখানে ইংরেজ সরকারের আমলে একবার মাত্র স্থগিত রাখা হয়েছিল এই রথযাত্রা, আর এবার করোনার চোখ রাঙানি। ২৪৬ বছরের পুরনো রেওয়াজে পড়েছে সিলমোহর। বাড়ির পালকিতে চরে দুই ভাই বোন যাবেন মাসির বাড়ি তারপর জাকজমক ছাড়াই ফিরবেন বাড়ি সঙ্গে থাকেন বাড়ির আরাধ্য দেবতা গোপীনাথ জিউ।

নদিয়ার শান্তিপুর,ফুলিয়া, নবদ্বীপ এলাকায় একই ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। মায়াপুর ইসকন মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত প্রবেশাধিকার নিষেধ।সেখানকার সভাপতি রসিক দাস জানিয়েছেন ভগবানের ইচ্ছায় এবছর এমনটাই চলুক, তার কৃপাতে আগামী বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা রাখি।

এদিকে ঈদউদযোহা ও রথ দুই সম্প্রদায়ের উৎসব পড়েছে পরপর। তাই চুঁচুড়া রথ ও ঈদ কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছে এক সমন্বয় সভার। যেখানে স্বাস্থ্য বিধি মাথায় রেখে চলবে একে অপরের সঙ্গে আলাচারিতা।

এদিকে আজ থেকেই বিভিন্ন বনেদি বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মা দুর্গার আগমনী বার্তা। কাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয় কুমোরটুলি সহ একাধিক জায়গায়। মা আসছেন এই আনন্দে মেতে ওঠেন আপামর জনসাধারণ, তবু এই ভয়াবহ মুহূর্তে আশা একটাই সুস্থ হয়ে উঠুক ধরণী।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!