অমর একুশের তাৎপর্য কি জানতে হলে ফিরতে হবে ২৮ বছর আগে

0 0
Read Time:3 Minute, 9 Second

নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের আজকের দিন, ঘটেছিল সেই ঐতিহাসিক ঘটনা, যার জেরে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বানে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান। সেই ৯৩ তখন রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল ছিল জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে মহিলা সভানেত্রী সেদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তখন বামফ্রন্টের শাসন চলছে, এদিকে মিটিং মিছিল সভা করছেন তরুণ নেত্রী মমতা। সেদিন একদল লোক জড়ো হয়েছিল রাজভবনের সামনে, করা নিরাপত্তার মধ্যেও তারা দাবি করেছিলেন সচিত্র পরিচয়পত্রের। একদল লোক স্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করছিলেন রাজভবনের অন্দরে। এমন সময় গুলির আওয়াজ ছত্রভঙ্গ করে দিলো মিছিলকারীদের। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হলেন ১৩ জন তরতাজা প্রাণ।

এরপর থেকে শুরু হয় শহীদ দিবস পালন। ২১ এর প্রতিবাদে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পালিত হতে থাকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। ৪ বছর পর কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হলো তৃণমূল কংগ্রেস, যার সুপ্রিমো হলেন স্বয়ং মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে শুরু এরপর ২০১১ সালে ক্ষমতা দখল করেন সেদিনের নেত্রী মমতা। ২০১১ থেকে ২০২১ এতগুলো বছর কেটে গেলেও শহীদ স্মরণে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে নেওয়া হয় একাধিক কর্মসূচি, মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য এই দিনটিতে হাজার হাজার মানুষ হাজির হন ধর্মতলা চত্বরে। কিন্তু এবছরের বাঁধ সেধেছে করোনা। মহামারীর প্রকোপে বন্ধ রয়েছে সেই কর্মসূচি যদিও আলাদা আলাদা ভাবে জমায়েত না করে পালিত হচ্ছে শহীদ দিবস। মুখ্যমন্ত্রী এবারে বিপুল সংখ্যক ভোটে বিজয়ী হয়ে মসনদে বসেছেন, তিনি এবার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ভাষণ দেবেন যা জায়েন্ট স্ক্রীনে দেখানো হবে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। শুধু কি তাই? গুজরাট , উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সহ ভিন রাজ্যেও হিন্দিতে সম্প্রচারিত হবে এই বক্তব্য। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরসূরী অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ও আহ্বানে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পালিত হচ্ছে এই দিনটি। কেটে গেছে ২৮ বছর গঙ্গায় গড়িয়েছে অনেক জল কিন্তু সবুজ শিবিরে আজও উজ্জ্বল জুলাইয়ের একুশ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!