সরকার ভয় পেয়ে এই ধরনের কাজ করছেন, আগরতলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন ব্রাত্য বসু
নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় নজর বন্দি করে রাখা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের। তাদের মুক্ত করার উদ্দেশে আজ তৃণমূলের তিন সদস্য ত্রিপুরার গিয়েছেন। সেখানে আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তারা বলেন এই আটক করে রাখার ঘটনা আসলে স্বৈরাচারিতার প্রবণতা।
ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এখনই এতো ভয়? আইপ্যাক তো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। ২৩ জনের অপরাধ টা কি? তাদের মাথার উপর প্রশান্ত কিশোর রয়েছে তাই? তারা আরও জানিয়েছেন, বাংলায় তো গোটা দেশ থেকে নেতাদের নিয়ে এসে হাজির করেছিল বিজেপি। তখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায়। কই তখন তো কাউকে এভাবে আটকে রাখে নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। আসলে তৃণমূল নেতা বারবার বলার চেষ্টা করেছেন যে বিপ্লব দেব সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে।
শুধু তৃণমূল নয়, ত্রিপুরার বিরোধী দল সিপিএম এর বিরোধিতা করেছে। গতকাল বিরোধী দলনেতা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, এটা কি ধরনের সরকার। একটা দল সমীক্ষা করতে এসেছে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা আসতেই পারে। তাই বলে তাদের হোটেলে বন্দী করে রাখা হবে! এমনকি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, এসব কেন করছে? আসলে সরকার ভয় পেয়েছে। ভীতি থেকে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
বামেদের উদ্দেশ্যে ব্রাত্য বসু এদিন জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে যে ভুল করেছিল বামেরা সেই ভুল ত্রিপুরার বামপন্থীরা না করলেই ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা না করে তাদের উচিত পাশে দাঁড়ানোর কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা এখন একমাত্র বিকল্প পথ।
উল্লেখও, আগামীকাল ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ইঙ্গিতও দিয়েছেন ব্রাত্য বসু।