মহিলাদের নিয়ে তালিবান গোষ্ঠীর নিয়মাবলী
নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের অধিকাংশ জায়গায় বর্তমানে তালিবানের দখলে। এমনকি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এছাড়াও বহু নেতা মন্ত্রীও পালিয়েছে দেশ ছেড়ে। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে আফগানিস্থানে বসবাসকারী সাধারণ নাগরিকদের জীবন। রাস্তা-ঘাট, বাজার-দোকান থেকে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ এখন সর্বত্র বন্দুক হাতে সামনে তারা। কিন্তু পিছন থেকে অনেকাংশেই কলকাঠি নাড়ছে পাকিস্তান। এই দ্রুত পট পরিবর্তনের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় এক ঝটকায় অনেকখানি শক্তিশালী হয়ে গেল ইসলামাবাদের হাত। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, পাক সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সরাসরি মদতপ্রাপ্ত পাক-তালিবান গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ পোক্ত হয়ে উঠবে আফগানিস্তানে। এছাড়াও এই তালিবান গোষ্ঠী মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু নিয়ম করেছে, যা অন্যান্য দেশের মহিলাদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে! মহিলাদের ক্ষেত্রে তালিবানি গোষ্ঠীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে…
রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন পরিবারের সদস্য, স্বামী ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারবেন না মহিলারা।
মহিলাদের রাস্তায় বেরোতে হলে বোরখা এবং হিজাব পরা বাধ্যতামূলক।
এমনকি কোনও পুরুষের কানে যেন মহিলাদের পদশব্দ না পৌঁছায়। যার কারণে কোন মহিলাই হিল জুতো পরতে পারবে না।
প্রকাশ্যে উঁচু গলায় কথা বলতে পারবে না কোনও মহিলা। কোনও অচেনা ব্যক্তির কানে যেন সেই মহিলার গলার আওয়াজ না পৌঁছায়।
রাস্তা থেকে কেউ যেন দেখতে না পায় তাদের। তার জন্য বাড়িতে থাকলে নিচের তলার এবং দোতালার সমস্ত জানালার কাঁচ রং করে অথবা অন্য উপায়ে পাকাপাকিভাবে ঢেকে দিতে হবে।
কোনও রকম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারবেনা মহিলারা। বই, সংবাদপত্র, দোকান ও বাড়িতে মহিলাদের কোনও ছবি রাখা যাবে না।
মহিলাদের নামে নামাঙ্কিত সমস্ত জায়গায় নতুন করে নামকরণ করতে হবে।
বাড়ির বারান্দায় পা রাখতে পারবেন না মহিলারা।
রেডিও-টেলিভিশনের কোনও অনুষ্ঠান এবং প্রকাশ্য জমায়েতে অংশ নিতে পারবেন না মহিলারা।