শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ, আটক শশুর ও শাশুড়ি
নিউজ ডেস্ক: বিয়ের মাত্র তিনমাসের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হলো এক গৃহবধূর মৃতদেহ।বারাবনি থানার অন্তর্গত পানুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলবেরিয়া গ্রামের এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় ।জানাগেছে মৃত গৃহবধূর নাম তারা মন্ডল। মাস চারেক আগেই বিয়ে হয় তার শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী সহ সংসার করছিল। কিন্তু মৃত গৃহবধূর পিতা যাদব গড়াই জানান তার মেয়ের উপর প্রায়ই অত্যাচার চালানো হত অনেকবার সংসারে মিটমাট করেও এসেছে কিন্তু এবারে তার মেয়েকেই মেরে ফেলল। এদিন ভোর চারটে নাগাদ শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর বাবাকে ফোনে জানানো হয় যে, আপনারা তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ হিসাবে তাকে বলা হয়, তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেই খবর পেয়ে তারা মন্ডল এর বাবা যাদব গড়াই বেলা বারোটা নাগাদ মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখেন যে, মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। এরপরেই তিনি তার পরিজনদের খবর দেন ও বারাবনি থানাতেও খবর দেওয়া হয়।সেই খবর পেয়ে ছুটে যায় বারাবনি থানার পুলিশ। দুপুর একটা নাগাদ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে গৃহবধূর দেহের পাশ থেকে পাওয়া যায় একটি চামড়ার বেল্ট। প্রাথমিক তদন্তের পরে
পুলিশের অনুমান গৃহবধূকে এই বেল্টের সাহায্যে গলায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।গৃহবধূ তারা মন্ডল এর বাবার যাদব গড়াই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত গৃহ বধূর শ্বশুর মধুসূদন মন্ডল ও শাশুড়ি মেনকা মন্ডলকে আটক করেছে। স্বামী কৃষ্ণ ওরফে দীপক মন্ডল গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ৮ মে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বৃন্দা পাথরের বাসিন্দা তারা গড়াইয়ের সঙ্গে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের পানুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলবেড়িয়া গ্রামের দীপক মন্ডল ওরফে কৃষ্ণের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে পন হিসাবে নগদ টাকা সহ অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়। তারা মন্ডলের বাবা যাদু গড়াই এদিন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের মাস খানেক পর থেকেই মেয়ের উপর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি অত্যাচার করতো। এদিন সকালে মেয়ের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনে শ্বশুর বাড়িতে এসে মেয়ের দেহ দেখতে পাই। তার দাবি, স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছে।
পুলিশ জানায়,অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।