আগরতলায় তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক
নিউজ ডেস্ক: আগরতলায় একটি বেসরকারী হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ ডা: সান্তনু সেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সহ অন্যান্যরা।এদিন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ ডা:সান্তনু সেন ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন যে, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতল মিলনচক্র এলাকায় শনিবার দিন বিকেলে নিজ বাড়িতেই আক্রান্ত হন মুজিবর ইসলাম মজুমদার। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবসে অংশ নেওয়ার পর মুজিবর ইসলাম মজুমদার তার নিজ বাড়িতেই কয়েকজন অনুগামীদের নিয়ে ছোট আকারের একটি সভা করতে চেয়েছিলেন। মুহূর্তেই একদল দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তার বাড়িতে চড়াও হয়। ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে চেয়ার টেবিল। ভাঙচুর করে মুজিবর ইসলাম মজুমদারের বাড়ি ঘরের দরজা-জানালা ও। মুজিবর ইসলাম মজুমদারের হাতে এবং শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তেমনিভাবে আক্রমণ চালানো হয় শুভঙ্কর দেবনাথের উপরেও। শুভঙ্কর দেবনাথের ও মাথা ফেটে যায় এবং বুকে প্রচণ্ড আঘাত লাগে।এই ঘটনাটি বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা করেছেন বলে দাবি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর এসে পৌঁছায় পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্বরা। তারা অভিযোগ করেন ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকারের আমলে আইন শৃঙ্ক্ষলার চরম অবনতি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। ঘাসফুল যতই কাটা হবে তা ততই বাড়বে বলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।তাদের কথায় ‘মারবে যত বাড়বে তত’। অর্থাৎ মেরে কেটে তৃণমূলকে দমানো যাবে না বলে জানান তারা। কুনাল ঘোষ ও সান্তনু সেন বলেন, শুক্রবার যেভাবে এভিবিপির সদস্যরা এসডিপিওকে হেনস্তা করছে তা নিন্দনীয়। বিপ্লব দেব চাইছেন প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এরাজ্যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। যা কোনদিনই সম্ভব হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন কুনাল ঘোষ ও সান্তনু সেন।