ভুয়ো নয় তো? – স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ সরকারের
নিউজ ডেস্ক: শুধু রেশন নয়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেও ‘ভুয়ো’, ‘জাল’ কার্ড থাকতে পারে বলে সন্দেহ রাজ্য প্রশাসনের। তাই ডিজিটাল রেশন কার্ডের মতো এ বার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেও ঝাড়াইবাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সব জেলা প্রশাসনকে এই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকার চাইছে, স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ-সুবিধা শুধু প্রকৃত উপভোক্তাদেরই হাতে পৌঁছক। বিধিমতো নথিপত্র না থাকলে কার্ড ‘ব্লক’ করে দেওয়া হবে।
মূলত দু’টি উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাচাইয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রথমত, সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা প্রকৃত উপভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। অনেক অর্থনীতিবিদই বলে থাকেন, সামাজিক খাতে খরচ করা ভাল, তবে সেই সুবিধা উপযুক্ত প্রাপকদের হাতে পৌঁছে দেওয়াটাও সমান জরুরি। দ্বিতীয়ত, সাশ্রয়। রাজ্যে বহু সামাজিক প্রকল্প চলছে এবং সেই সব খাতে খরচ বিপুল। আয়ের সীমিত উৎসের মধ্যে সেই সব খরচ চালানো বেশ কঠিন। তাই সরকার শুধু প্রকৃত উপভোক্তাদের জন্যই অর্থ ব্যয় করতে চাইছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৩০ কোটি পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছে। ব্যক্তি-উপভোক্তা ধরলে সংখ্যাটা কমবেশি আট কোটি। প্রশাসন লক্ষ্য করেছে, স্বাস্থ্যসাথীর তথ্যভান্ডারে এমন অন্তত ৫০ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁদের আধার নম্বরের উল্লেখ নেই। আবার কিছু কার্ডে একই আধার নম্বর। তাই প্রকৃত আধার নম্বরযুক্ত কার্ডগুলি চিহ্নিত করতে সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।