উপনির্বাচনে জয়ের পর পুরসভার ভোট চাইল রাজ্য
নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনে ৪-০ করে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। তিন কেন্দ্রে আবার বিজেপির জামানত জব্দ হয়েছে। আর সেই জয়ের আনন্দের মাঝেই পুরভোট চাইল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এ নিয়ে মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছে তারা। কলকাতা এবং হাওড়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট করতে চেয়ে কমিশনের কাছে চিঠি দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। রাজ্য সরকারের তরফে এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে শুক্রবার। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যৌথ সিদ্ধান্তে পুরভোট হয়। এদিন গোসাবা, দিনহাটা , শান্তিপুর ও খড়দহ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেই পুরভোট চাওয়া হল। এই বিপুল ব্যবধানে জয়ের ছাপ যাতে তাড়াতাড়ি পুরভোটে পড়ে তাই কি শাসক দলের এই তাড়াহুড়ো, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এতদিন বিরোধীরা দাবি করে আসছে পুরভোট নিয়ে। এবার উপনির্বাচনে জয়ের পরে নিজে থেকেই রাজ্যের তরফে কমিশনকে পুরভোট চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও দ্বিমত না থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বরই আবার এক ভোট হতে চলেছে বঙ্গে। প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফলাফলের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন শেষ হলেই পুরভোট সম্পূর্ণ করে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। তার পর একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শিগগিরই কলকাতার পুরভোট হবে বলে আভাস দেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও করোনার জন্যই পুরভোট করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুজোর পর করোনা সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। তবে অধিকাংশ উপসর্গহীন ও তীব্রতা প্রায় নেই। তাই যদি সবাই মাস্ক পরে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা দিয়ে শনাক্ত করে তবে সংক্রমণ ফের একশোর নিচে চলে যাবে। আর সংক্রমণ কম থাকলে শিগগিরই আমাদের বকেয়া পুরভোট হয়ে যাবে বলে জানান ফিরহাদ।