অগণিত মানুষের ঢল – পঞ্চভূতে বিলীন হলেন সুব্রত
নিউজ ডেস্কঃ ঘড়ির কাঁটা তখন সন্ধে ৬টার দিকে এগোচ্ছে। হেমন্তের বিকেল ফিকে হয়ে নেমে এসেছে সন্ধে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেল পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রাণহীন দেহ। পড়ে রইল তাঁর বর্ণময় জীবনের অজস্র স্মৃতি।
মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই শুক্রবার সকালে প্রায় ৪ ঘণ্টা রবীন্দ্রসদনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ শায়িত ছিল। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রাজনৈতিক নেতা থেকে অভিনেত্রী মুনমুন সেন-সহ অনেকে তাঁর নশ্বর দেহে ফুল, মালা দিয়ে শেষবারের জন্য শ্রদ্ধা জানান।
রবীন্দ্রসদন থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ বিধানসভা ঘুরে বালিগঞ্জের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁর প্রিয় একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে কিছুক্ষণ রাখা হয় মরদেহ। ক্লাব প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সদস্যরা।
বিকেলে জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে শেষকৃত্যে যোগ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ছিলেন তিনি। ২১টি গান স্যালুটে তাঁকে রাজ্য সরকারের তরফে শেষবারের জন্য সম্মান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ঠিক ২ দিন আগে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূ্র্তে স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন। তারপর চিকিৎসার আর তেমন সুযোগ পাননি চিকিৎসকরা। কথা ছিল শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে। কিন্তু কালীপুজোর দিন রাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ির কালীপুজো ছেড়ে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।