ভাবনা বাম মূল থিম- “কাঠামো থেকে প্রতিমা”
নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে কয়েক ঘর প্রতিবেশী মিলে শুরু হয় আমাদের পথ চলা I ধীরে ধীরে পুজোর পরিবেশ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এক এক করে হাতে হাত ধরে সমগ্র পল্লীবাসী বৃন্দ I নারী শক্তির জাগরণ ঘটিয়ে , তাদের প্রকৃত সামাজিক সম্মান জানিয়ে উত্তরণ ঘটানোই ছিল আমাদের এই পুজো করার প্রধান উদ্দেশ্য ও অনুপ্রেরণা I কারণ মেয়েরাই হলো আমাদের মূল সমাজের ধাত্রী ও সংস্কৃতির বাহক I এই মূল উপলব্ধির মধ্যে দিয়েই শুরু হয় আমাদের পথ চলা I মনের কোনে জমে থাকা আঁধার আর গ্লানি দূর করার জন্য এই নারী বাহিনীই সব সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে বা এখনও এগিয়ে চলেছে I
এই কালীপুজোর উৎসবের একটা নিজস্ব আঙ্গিক বা লোকায়ত কিছু অর্থ নিহিত আছে I সে দিক থেকে সবারই নিজস্ব কিছু প্রার্থনা বা আশা থাকবেই I রামায়ণের যুগে আমরা দেখেছি প্রভু রামচন্দ্র অকালবোধন করে দশমী তিথিতে রাবণ বধের পরে এই দীপাবলির দিনেই সীতামাতা কে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে আসেন এবং প্রজাদের সঙ্গে দীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা করেন I দীপাবলীর দীপ প্রজ্জ্বলন এর মাধ্যমে মানুষের সেই মনের আঁধার দূরীভূত হয় যেমন , ঠিক তেমনি বর্তমানের অত্যাধুনিক ডিজিটাল আলোকসজ্জাও মা কালীর শত্রু দমনের লড়াইয়ে শামিল হয়ে ঘোর কালো অমাবস্যার আঁধার দূর করে জগত কে আলোকিত করে আর পৃথিবী থেকে যত ঋণাত্মক শক্তির প্রভাব কেও দূরে ঠেলে দেয় I
“কাঠামো থেকে প্রতিমা”- আমাদের এবারের মৌলিক ভাবনা খড়দহ শহরে শুধুমাত্র আমাদেরকে বিশিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়েছে বা সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে তাই নয় , আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আলোর দিকে হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে I খড়দহের নন্দনকানন এর একটি ছোট পূজা আজ এক বিশাল আকার ধারণ করেছে I সাথে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ – যেমন , দুস্থ ও আর্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো, করোনা মহামারীর সময় তাদের খাবার প্রদান করা, বন্যাদুর্গতদের সবরকম সাহায্য , শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ , আরো কত কি -যা বলে শেষ করা যায় না I
আমরা জনগণের সতস্ফুর্ত অনুপ্রেরণায় যাতে আগামী দিনের পথ চলা কে আরো সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি – মা কালীর কাছে দিন শেষে এই প্রার্থনাই করি I
আমরাই পারি , আমরাই করে দেখাই , আমাদের কর্ম আর সফলতা়ই আমাদের অনুপ্রেরণা I