আআকাশছোঁয়া ঘি-মাখনের দাম – বড়দিনে বাড়তে চলেছে কেকের মূল্য
নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের কনকনে ঠান্ডাতেও কেক কিনতে গেলে হাতে লাগবে ছ্যাঁকা। বাজারের মতিগতি বলছে, প্রায় ৩০ শতাংশ দাম বাড়তে চলেছে কেক-পেস্ট্রি, কুকিজ ইত্যাদি সুইট মিটের। বড়দিনের সন্ধে উদযাপন কিংবা মোমবাতি ঘিরে থাকা সুদৃশ্য কেকের সামনে দাঁড়িয়ে জন্মদিন পালন, বস্তুতই ম্রিয়মান হতে চলেছে।
আমবাঙালির শৌখিনতায় এবার জোরালো থাবা বসিয়েছে ঘি, মাখন, মার্জারিন, বনস্পতির বাড়তি দাম। আকাশছোঁয়া হয়েছে ঘি, মাখন, মার্জারিন, বনস্পতির দাম। কিছু ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ। মাখনের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
কেক-পেস্ট্রি-কুকিজের মতো সামগ্রী তৈরিতে অতি আবশ্যিক সামগ্রীর বাড়তি দাম-এই দুইয়ের মিশেলেই টান পড়তে চলেছে কেক কিনতে যাওয়া বাঙালির পকেটে। বেকারি সামগ্রীগুলির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বাড়তে চলেছে। অর্থাৎ, আগে যে কেক ১০০ টাকায় মিলত, তা কিনতে গুনতে হবে ১২৫ টাকা। বড়দিনের আগেই বাড়বে দাম।
রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ দফতরের অধীনে হাজার তিনেক ছোট বেকারি রয়েছে। গত বছর করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই মার খেয়েছে বেকারিগুলির ব্যবসা। বড়দিনেও অনেক ক্রেতা বেকারি থেকে কেনার পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি করে ফেলেছিলেন কেক। তাই তো কেক উৎসব নামে পরিচিত সময়ে কেকের বাজারে দেখা গিয়েছিল মন্দা। বেকারি শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের কথায়, প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ বিক্রি কমেছে কেক, পেস্ট্রি, কুকিজের মতো বেকারি সামগ্রীগুলির বিক্রি।