সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ বিজেপিরও – তীব্র ‘বচসা’ দু’পক্ষের
নিউজ ডেস্ক : সংসদে সাসপেন্ডেড বিরোধী সাংসদের ধরনায় একপ্রকার ‘চড়াও’ হওয়ার অভিযোগ উঠলে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের ধরনার পালটা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ধরনাস্থলে গিয়ে হট্টগোল করলেন বিজেপির সাংসদরা। যার জেরে রীতিমতো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। পরে রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও পাত্তা দিতে চাননি চেয়ারম্যান।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসন থেকে জানানো হয়, সাংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানো সবার অধিকার। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বলার কিছুই নেই। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, বিরোধীরা আগে থেকেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন, তাহলে বিজেপি সেখানেই কেন বিক্ষোভ দেখাতে গেল? বিক্ষোভ দেখানোই উদ্দেশ্য হলে সংসদ চত্বরে আরও অনেক জায়গা ছিল। সেখানে কেন গেলেন না বিজেপি সাংসদরা? নাকি বিরোধী সাংসদদের ধরনায় বাধার সৃষ্টি করাটাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল?
পূর্ব ঘোষণামতো শুক্রবারও সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনে ধরনায় বসেন ১২ জন সাসপেন্ডেড বিরোধী সাংসদ। তাঁদের পালটা জবাব দিতে আবার সেখানে হাজির হন বিজেপির রাজ্যেসভার সাংসদরা। তাঁদেরও উদ্দেশ্য ছিল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ওই জায়গাটিতেই বিক্ষোভ দেখানো, যেখানে বিরোধী শিবির ধরনা প্রদর্শন করছে। শুধু বিক্ষোভ দেখানো নয়, বিরোধী শিবিরের আচরণ নিয়ে রীতিমতো স্লোগান দিতে থাকেন শাসকদলের সাংসদরা। তাঁদের হাতে ছিল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, ‘গুন্ডাগিরি চলবে না’ লেখা প্ল্যাকার্ড। স্বাভাবিকভাবেই সরকার পক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদ করেন ধরনারত বিরোধী সাংসদরা। সরকার পক্ষের সাংসদদের অন্যত্র বিক্ষোভ দেখাতে অনুরোধ করেন তাঁরা। যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলে। যদিও পরে বিরোধীদের ধরনাস্থল ছেড়ে সংসদের অন্দরে চলে যান।