২ বছরের কারাদণ্ড মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু চিরের
নিউজ ডেস্ক : মাস্ক ছাড়াই নির্বাচনী প্রচার করেছেন। এই অভিযোগে মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেদেশের জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রিত আদালত। পরে সেই সাজা কমিয়ে ২ বছর করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নিয়ে তীব্র নিন্দা ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ।
এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি উদ্বেগ জানিয়ে বললেন, ‘সাম্প্রতিক রায় নিয়ে আমরা বিরক্ত। প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত সব সময় মায়ানমারে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনকে সমর্থন জানিয়েছে।’ তিনি আরও বললেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে আইন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বহাল রাখা উচিত। এই প্রক্রিয়া ব্যহত করে এমন সব কিছুই উদ্বেগজনক।’
অরিন্দম বাগচি এর পর সেদেশে গণতন্ত্র ফেরানো নিয়ে আশা প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘আমরা আশা করি, সেদেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব পক্ষই আলোচনায় এগিয়ে আসবে।’
১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রাণ দিয়েছেন শয়ে শয়ে নাগরিক। মারা গিয়েছে শিশুরাও। সেনা অভ্যুত্থানের দিন থেকে গৃহবন্দি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী সু চি। গত মাসে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সু চিকে। জানানো হয়, তিনি অসুস্থ।
সু চি এবং জুন্টার হাতে বন্দি অন্য নেতাদের বিচারের প্রক্রিয়া চলেছে সম্পূর্ণ গোপনে, মায়ানমারের রাজধানী নেপিদয়ের কোনও এক আদালতে। বন্ধ দরজার ভিতরে চলা এই মামলায় কোনও বিদেশি প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এমনকী সাধারণ মায়ানমারবাসীর প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল। উপস্থিত ছিলেন শুধু সু চির আইনজীবীরা। সাজা ঘোষণার পরে সু চিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি।