বিবাহ বার্ষিকীতে মাইথনে এসে, নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্য হীন ছেলেকে মায়ের হাতে তুলে দিলো দম্পতি

0 0
Read Time:3 Minute, 30 Second

নিউজ ডেস্ক : নিজেদের উদার মানসিকতার রূপ দেখালো দম্পতি মিঠুন দাস ও চৈতালি দাস।পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর এলাকার বাসিন্দা মিঠুন দাস ও স্ত্রী চৈতালি দাস নিজেদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকী পরিবার ও বন্ধুর সাথে পালন করতে মাইথনে ঘুরতে এসেছিলেন।

সেখানে তারা রাস্তায় দেখতে পান পাড়া থেকে একমাস আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অসহায় ও মানসিক রূপে ভারসাম্যহীন যুবক বিশ্ব বাউরিকে।রাস্তায় দেখা মাত্রই তাকে চিন্তে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবরদেন পাড়ার ক্লাবের ছেলেদের ও তার পরিবারকে। এবং তার সাথে সাথে খবর দেন স্থানীয় পুলিশ কল্যানেশ্বরী ফাড়িতে।


এই খবর পাওয়ার পর পাণ্ডবেশ্বর থেকে গাড়ি করে ছুটে আসে বিশ্ব বাউরির বৃদ্ধ মা অশোকা বাউরি ও ক্লাবের ছেলেরা।প্রায় একমাস পর ছেলেকে সামনে পেয়ে খুশিতে চোখের জল আসে মা এবং ছেলের।

পুলিশ ও দম্পতি সেই ছেলেকে তুলে দেয় তার মায়ের হাতে।ছেলেকে ফিরে পেয়ে দু হাত তুলে আশীর্বাদ করেন মা অশোকা বাউরি।তিনি জানান প্রায় একমাস থেকে ছেলেকে চারিদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তার স্বামী নেই ভরসা হচ্ছে ছেলে,সেও মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন।তিনি জানান আগে তার ছেলে অনেকটাই ঠিক ছিলো এলাকার এক মাংস দোকানে কাজ করতে কিন্তু লকডাউনের পর থেকে কাজ হারাবার পর তার এই অবস্থা হয়ে পড়ে।আর অর্থ নেই বলে ভালো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেনি তিনি।


এই প্রসঙ্গে মিঠুন দাস জানান- ” বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে পরিবার ও বন্ধুর সাথে আজ মাইথন আসি,আর সকালেই পাড়ার কিছু ছেলে আমাকে ফোন করে বিশ্বর নিখোঁজের কথা বলে,বলে তাকে কয়েক মাস ধরে খোঁজা চলছে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বললাম ঠিক আছে আমি যদি কোথাও সন্ধান পায় তবে জানাবো কিন্তু সব ভগবানের মহিমা আমি তাকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে চিন্তে পারি,এবং মাইথনের এক চা দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসাকরি তুই বিশ্ব তখন সে আমাকে চিনতে পারে তারপরে স্থানীয় ওই চা দোকানের মালিক ও কিছু মানুষের সহযোগিতা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ব বাউরির পরিবারে খবর পাঠায়।আমি খুব খুশি যে আজকের এই সুন্দর দিনে আমি এক মায়ের কোলে ওর ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পার লাম।আমার বিবাহ বার্ষিকী সফল হলো।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!