স্বপন সমাদ্দারের প্রচারে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
নিউজ ডেস্ক :- কলকাতা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বাম থেকে ডান জোর কদমে নেমেছে প্রচারে। মঙ্গলবার স্বপন সমাদ্দারের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচনী প্রচারে নেমে বিজেপিকে এক হাত নেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের আগামী দিনে মানুষের সমর্থন থাকবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। তবে ২০২৪ -এ বিজেপি সরকার থাকবে কিনা সেটা দেশের মানুষ ঠিক করে ফেলেছে। ওরা আগে নিজেদের ঘর সামলাক। ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে ওরা কি কি করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। আগামী দিনে এ-রাজ্যে বিজেপি বলে আর কিছুই থাকবে না, শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষই একা পড়ে থাকবেন পদ্ম ফুলে।
স্বপন সমাদ্দার দীর্ঘদিনের মেয়র পরিষদ কলকাতা পুরসভার। বাম জমানায় তৎকালীন মেয়র প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় কে পরাজিত করে স্বপন সমাদ্দার কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ হন। স্বপন এবং আমি দুজনেই একই সময়ে কলকাতা পুরসভায় মেয়র পরিষদ হই। এলাকার মানুষ স্বপনকে ভীষণ ভালোবাসে। এলাকার মানুষের স্বপনের উপর ভরসা আছে। স্বপন সমাদ্দারের জয় এক প্রকার নিশ্চিত।
তিনি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ বলেন, বিজেপি যে অভিযোগ করছেন আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপি হতে পারে, তা আসলে ওদের দূর্বলতার প্রতিফলন। নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতা পুরসভার ভোট করতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃত্ব ও কর্মীরা ১০০ শতাংশ শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতা পুরভোট সম্পন্ন করাবে।
তিনি আরো বলেন, কলকাতায় পুরভোটের সময় বিজেপির পক্ষ থেকে সিঙ্গুরে তিন দিন ধর্নার ডাক দেওয়া হয়েছে, এটা আসলে কন্সেন্ট্রেশন ডাইভার্ট করার প্রচেষ্টা মাত্র। পুরভোট হওয়ার আগেই ওরা হেরে বসে আছে এটা ওরা বিলক্ষণ বুঝেছে। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে দলে টেনে বাজিমাত করতে চেয়েছিল বিজেপি, কিন্তু ব্যাচারাম মান্নাই ওখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। সিঙ্গুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে।