কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে স্বীকৃতি আদায় করল তৃণমূল

0 0
Read Time:3 Minute, 3 Second

নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি মেঘালয় কংগ্রেসকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাতারাতি মুকুল সাংমা সহ ১২ কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মেঘালয়া বিধানসভায় বিরোধী দলে মর্যাদা হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেস বিধায়ক আম্পারিন লিংডোহর দায়ের করা পিটিশনের ভিত্তিতে, মেঘালয় বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবাহ লিংডোহ মুকুল সাংমা সহ ৯ বিধায়ককে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাদের বিধানসভা থেকে অপসারিত করা হবে না।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভাপ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি অক্সিজেন পাবে তৃণমূল। তৃণমূলের লক্ষ্য যে জাতীয় রাজনীতি যেই বিষয়টি এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার। এই সিদ্ধান্তের ফলে সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলরে গুরুত্ব বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১২ সালে মেঘালয়তে তৃণমূলের রাজ্য শাখা তৈরি হলেও সেখানে এতদিন দলের কোনও পোস্টার, ব্যানারও চোখে পড়ত। সেখানে উত্তর পূর্বের পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট রাজ্যে দলে ১২ বিধায়কের অন্তর্ভুক্তি বাংলার শাসক দলের ক্ষেত্রে সংগঠন বিস্তারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

২০২১ সালে বাংলা জয়ের পর তাঁর লক্ষ্য যে দিল্লি, সেকথা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন মমতা। সেই মত গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মত ছোট ছোট রাজ্যে বাড়তি নজর দিয়েছিল তৃণমূল। সম্প্রতি ত্রিপুরার পুরভোটে একটি আসনে জয় না পেলেও ভোট শতাংশ অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের নানা কর্মসূচিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এমনকি তৃণমূলের দাবি, গোয়ার ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ নাম লিখিয়েছে। এই ইতিবাচক সূত্রপাতে আগামী দিনে রাজ্যগুলিতে দলের ভীতকে শক্ত করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন মমতা-অভিষেক। তৃণমূল মানুষের মনজয় করতে কতটা সক্ষম হয় অদূর ভবিষ্যতেই সেই উত্তর পাওয়া যাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!