চিকিৎসার গাফিলতিতে শয্যাশায়ী গৃহ চালিকা
নিউজ ডেস্ক:চিকিৎসার গাফিলতিতে শয্যাশায়ী গৃহ চালিকা।প্রতিনিয়ত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন নামিদামি ডাক্তারের চেম্বার ও তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ঔষধ কোম্পানী। কে কখন কার আগে কোন কোম্পানির ঔষধ কিভাবে কত বেশি বিক্রি করতে পারে তারই প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিনিয়ত। ফলে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। এবার ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় জন্য বর্তমানে বিছানায় শয্যাশায়ী এক গৃহ চালিকা। ত্রিপুরা জেলা বিশালগড় পৌর পরিষদের নেতাজি নগর ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিখা সাহা। দীর্ঘ তিন মাস পূর্বে কোমরের ব্যথা নিয়ে ভুগছিলেন। পরিবারের লোকজন পাড়া-প্রতিবেশীর পরামর্শ নিয়ে ডা. প্রবেশ দেবরায়ের চেম্বারে শিখা সাহার চিকিৎসা করান। ড. প্রবেশ দেবরায়ের দেওয়া প্রেসক্রিপশন মোতাবেক শিখা সাহার ছেলে প্রসেনজিৎ সাহা মাকে সমস্ত ঔষধ খাওয়ায়। ওষুধ সেবনের বেশ কিছু দিন পর দেখা যায় শিখা সাহার কোমর ব্যথা কমেনি, উপরন্তূ মুখের মধ্যে বিভিন্ন রকম ঘা হয়ে যাচ্ছে। পরে শিখা সাহার পুরো শরীরে ছড়িয়ে ঘা ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি শিখা সাহাকে আগরতলায় ড. চয়ন ভট্টাচার্যের কাছে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে ড. প্রবেশ দেবরায়ের প্রেপসিকশন দেখাতেই ড. চয়ন ভট্টাচার্য চক্ষু চড়ক গাছ ওঠে। তিনি জানান, সিখা সাহাকে যে ঔষুধ দেওয়া হয়েছে সেই ঔষধ একজন ব্যক্তি সপ্তাহে মাত্র একবার খেতে পারে কিন্তু সেই জায়গায় ড. প্রবেশ দেবরায় এই ঔষুধ শিখা সাহাকে প্রত্যেকদিন একটা করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেই মোতাবেক ঔষধ খেয়ে একেবারে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে বাড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শিখা সাহা। ঘটনার কথা জেনে শিখা সাহার ছেলে ড. প্রবেশ দেবরায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং মায়ের এই পরিস্থিতির জন্য ড. প্রবেশ দেবরায়কে দায়ী করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান। প্রসেনজিৎ সাহার দাবি, তার মায়ের সমস্ত চিকিৎসার দায়ভার অতিসত্বর ড. প্রবেশ দেবরায়কে নিতে হবে। প্রতিনিয়ত এই ওষুধ কোম্পানির প্রতিযোগিতার জেরেই চিকিৎসা ব্যবস্থার অবনতি ঘটে চলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।