করোনা থেকে রেহাই নেই থেকে যাবে সারাজীবন জানালো হু

0 0
Read Time:4 Minute, 26 Second

নিউজ ডেস্ক:করোনা থেকে রেহাই নেই থেকে যাবে সারা জীবন,WHO দুই বছরের বেশি মানুষ করোনা নিয়ে একেবারে নাজেহাল হয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকেই আশা করছেন হয়তো এবার এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু না ,একের পর এক ভ্যাকসিন বাজারে আসলেও সম্পূর্ণভাবে সুফল কোনোটাতেই পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ করোনা থেকে কবে রেহাই পাবে আশায় রীতিমতো দিন গুনছেন।স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ,আবার অনেকের জীবিকা থমকে গিয়েছে।

আর এসবের মাঝেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জালাল হু ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। এই ভাইরাস থেকে কখনই সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাবেন না। বাস্তু তন্ত্রের একটি অংশ হয়ে থাকবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২০২০ সালের ৩০ শে জানুয়ারী করোনার প্রাদুর্ভাবকে ‘আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জনস্বাস্থ্য জরুরি’ এবং ২০২০ সালে ১১ই মার্চ একটি মহামারী ঘোষণা করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং পৃথকীকরণের পুনরায় প্রবর্তনের ফলে সংক্রমণ কমলেও পরবর্তীকালে দ্রুত-প্রসারিত ওমিক্রন কিংবা ডেল্টার ভেরিয়েন্ট সব নিয়মকেই ভেঙে দিয়েছে।করোনার নতুন স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ অনেক দেশেই সমস্যা তৈরি করেছে। ভারতেও করোনার একই রকম পরিস্থিতি হয়েছে। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ নিয়ে নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে। ডব্লিউএইচও-এর জরুরি বিভাগের প্রধান বলেছেন, যদি সময়মতো টিকা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়, তাহলে করোনা থেকে মৃত্যু, হাসপাতালে শয্যা স্বল্পতা এবং লকডাউন থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।ডাক্তার মাইকেল রায়ান বলেন, ‘এই ভাইরাস হয়তো কখনো শেষ হবে না কারণ এই ধরনের ভাইরাস আমাদের বাস্তুতন্ত্রের অংশ হয়ে গেছে। তবে আমরা যদি চাই, আমরা অবশ্যই জনস্বাস্থ্য জরুরী অবস্থার অবসান ঘটাতে পারি, যদি আমরা যে বিষয়গুলির কথা বলছি তা বাস্তবায়নও করি’। ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে ভ্যাকসিনের বৈষম্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রায়ান বলেন, ‘আগামী সময়ে এটি একটি নৈতিক ব্যর্থতা প্রমাণিত হবে।

নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে, ১০ শতাংশ মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের মাত্র একটি ডোজ পেয়েছেন’।ডঃ রায়ান বলেছেন, ‘যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ব ও ব্যবসায়ী নেতাদের ভার্চুয়াল সমাবেশ চলতেই থাকবে। এ পর্যন্ত ৫.৫ মিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসের কারণে মারা গেছে। রোগের বিপদের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের যতটা সম্ভব টিকা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত, যাতে কোনও ব্যক্তি মারা না যায়। এমন অনেক রোগ হয়েছে যা কখনও নির্মূল হয়নি, তবে সময়ের সাথে সাথে কিছু কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

ম্যালেরিয়া, এইচআইভিও ছিল এরকম রোগ। জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা সতর্ক করেছেন যে কোভিড -১৯ নির্মূল করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে এবং যদি এটি এভাবে চলতে থাকে তবে এটির থেকে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে, কারণ এটি এমন একটি রোগে পরিণত হয়েছে, যা খুব কমই শেষ হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!