বটি নিয়ে চিকিৎসকের ওপর হামলার শিক্ষিকার

0 0
Read Time:4 Minute, 27 Second

নিউজ ডেস্ক:বটি নিয়ে চিকিৎসকের ওপর হামলা শিক্ষিকার। বালুরঘাট শহরের হাইস্কুল পাড়ায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা তৈরী হয় স্থানীয়দের মধ্যে। বিষয়টি হলো , হাই স্কুলের একজন শিক্ষিকা তাঁর পাশের বাড়ির দন্ত চিকিত্‍সকের পেছনে বটি নিয়ে তাড়া করেন। রীতিমতো কোপ বসানোর চেষ্টা করেন তাঁর হাতে।

তারপর থেকেই ওই চিকিত্‍সক নিজের সুরক্ষার্থে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার রেখেছেন বাড়ির বাইরে। তবে এই হাই স্কুল শিক্ষিকার এমন ব্যবহারের কারন কি? কারণ ওই হাই স্কুল শিক্ষিকার অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে পাড়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বাইরে বেরোলেই তাঁর পেছনে বেশ কয়েকটি ছেলে তাকে ফলো করছে বলে জানান তিনি।এই বিষয়টিতে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে গিয়ে এই এই ধরনের কাজ করে বসেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। গত ১১ই জানুয়ারি রাতে বালুরঘাটের তপন ব্লকের ভায়োর জালালিয়া হাই স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষিকা মঞ্জিষ্ঠা চক্রবর্তীর এই ধরনের হামলা চালান দন্তচিকিত্‍সক সৌরভ কুন্ডুর অপর।

তাঁর অভিযোগ ,বাড়ির পাশের জমি দখল করার চেষ্টা করেও দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি যখনই রাস্তায় বেরোনো তখনই তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করা হয়। সাথেই বাড়ি থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পেছনে বেশ কয়েকটি ছেলের দল এসে জড়ো হয় বলে জানান তিনি। সেদিন রাতেও বিশেষ কাজে দশটার পর বাইরে বের হয়েছিলেন মঞ্জিষ্ঠা চক্রবর্তী।সেই সময় বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে দেখে আবারও খারাপ মন্তব্য করা হয়। তা সহ্য করতে না পেরে বটি নিয়ে ওই চিকিত্‍সক কে তাড়া করতে বাধ্য হন শিক্ষিকা। তিনি এই বিষয় নিয়ে পূর্বে থানা দ্বারস্থ হলেও পুলিশ কোনও গুরুত্ব দেননি বলেও জানান শিক্ষিকা।

স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই শিক্ষিকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি হাইস্কুল পাড়ায় তাঁর মা এবং ছেলে কে নিয়ে থাকেন। শিক্ষিকা মাঝে মাঝেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু দন্তচিকিত্‍সক সৌরভ কুন্ডু বা পাড়ার অন্যান্য ছেলেরা তাকে উত্ত্যক্ত করে বা হেনস্থা করে এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।ভাগ্যের জোরে সেইদিন চিকিত্‍সক শীতের মোটা পোশাক পরেছিলেন বলে বটির কোপ সরাসরি গিয়ে তাঁর হাতে লাগেনি। নাহলে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থা হতো বলে জানান স্থানীয়রা । তিনি বলেন ১১ ই জানুয়ারি রাতে স্থানীয় একজনের মায়ের মৃত্যু বিষয়ে আলোচনায় বসে ছিলেন পাড়ার বেশ কয়েকজন। সেই সময় হঠাত্‍ ওই শিক্ষিকা চিকিত্‍সককে মারতে তেড়ে আসেন। এই ধরনের ব্যবহার করার মধ্যে সহ্য করা সম্ভব নয় তাঁর কোনো মানসিক সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। ওই শিক্ষিকা যখন তখন স্থানীয় কোন বাসিন্দার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তারা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!