অমর জ্যোতি নিভিয়ে নেতাজীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যায় না বললেন মমতা
নিউজ ডেস্ক:অমর জ্যোতি নিভিয়ে, নেতাজির মূর্তি বানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা যায় না।।স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডে নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেইসঙ্গেই তিনি বলেন যে, NCC-এর আদলে বাংলার স্কুলগুলিতে জয় হিন্দ বাহিনী গঠন করা হবে।
পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, কিন্তু শহীদদের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই।ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে। অমর জ্যোতি নিভিয়ে, নেতাজির মূর্তি বানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা যাবে না। এখন মূর্তি তৈরি হচ্ছে, কিন্তু বাংলায় আগে থেকেই মূর্তি রয়েছে। এদিন নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলার সংস্কৃতি বিভাগ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আজ দুপুর ১২.১৫ মিনিটে সাইরেন বাজানো হয়। বাংলায় বাড়িতে বাড়িতে শঙ্খ বাজানো হয়। এই উপলক্ষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে শঙ্খ বাজিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে নেতাজি পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সহ বিভিন্ন অংশের মানুষ এদিন নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২৩ জানুয়ারী, ২০২২ পর্যন্ত সারা বছর ধরে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে এই সময়ে, নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের। তাঁর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাঁর নামে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। নেতাজির স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘নেতাজি প্ল্যানিং কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই কমিশনকে সরিয়ে দিয়েছে। যারা প্ল্যানিং কমিশন সরিয়ে দিয়েছে, এটা তাদের লজ্জা। বাংলায় প্ল্যানিং কমিশন গঠন করা হবে। বাংলাই বিশ্বকে পথ দেখায়।’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, NCC-এর মতোই স্কুল-স্কুলে জয় হিন্দ বাহিনী গঠন করা হবে। করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে তৈরি হবে মিউজিয়াম।
তিনি বলেন, ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শহীদদের স্মরণ করা হবে। আজ হিন্দু-মুসলিম নামে দেশ ভাগ করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদের নামে দেশ ভাগ করা হচ্ছে’, বলেও সুর চড়ান মমতা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘এই সরকার বলেছিল যে তারা নেতাজির রহস্য প্রকাশ করবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই করা হয়নি। নেতাজি সম্পর্কিত সমস্ত কাগজপত্র বাংলা সরকার প্রকাশ্যে এনেছে। কিছু রাজনৈতিক দল কলকাতা কিলিংয়ের কথা বলে, কিন্তু সে সময় আপনাদের ভূমিকা কী ছিল। শহীদদের নিয়ে কখনই বিভেদ হয় না।’