দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে নিওকোভ
নিউজ ডেস্ক:দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে নিওকভ, প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারেওমিক্রন, স্টেলথ ওমিক্রনের পরে করোনাভাইরাসের আরও এক নতুন প্রজাতি নিওকভ নিয়ে হইচই পড়ে গেছে সারা বিশ্বে। চিনে করোনার এই নয়া প্রজাতি ছেয়ে গেছে বলে খবর সামনে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে নিওকভ। জিনের বিন্যাস বদলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে৭৫ শতাংশ সংক্রমণই আসে বাদুড় থেকে, এমনটাই দাবি হু-র বিজ্ঞানীদের। প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে, নিওকভ এখনও সুপার-স্প্রেডার হয়ে ওঠেনি।
আর এক ধাপ মিউটেশন হলে এই প্রজাতিও মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। হু বলছে, ২০১৯ সালেই নিওকভ ভ্যারিয়ান্টকে চিহ্নিত করেছিলেন চিনের বিজ্ঞানীরা। নিওকভ নিয়ে গবেষণাও চলছিল উহানের ল্যাবরেটরিতে। ভাইরাসের জীবাণু বাদুড় থেকে ছড়াতে পারে মানুষের শরীরে। এমনটাই দাবি করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার একদল ভাইরাস বিশেষজ্ঞও। তাঁদের বক্তব্য ছিল। মানুষের সংস্পর্শে চলে আসছে বাদুড়ের শরীরে বাসা বাঁধা ভাইরাস মানুষের মধ্যেও ছড়াচ্ছে। আগামী দিনে নতুন রকমের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ালে তার হটস্পট হয়ে উঠতে পারে ভারত, চিন, জাপানের মতো দেশ। নিওকভের বাহক বাদুড়ই। ভাইরাস সামান্য হোক বা প্রাণঘাতী, তার বিস্তারের জন্য বাহকের দরকার হয় ভাইরাস কিন্তু এই বাহকের ক্ষতি করে না। বরং তার শরীরকে আশ্রয় করেই আড়েবহড়ে বাড়তে থাকে। হু-র দাবি, ৬ রকম ভাইরাসের বাহক হল বাদুড়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনই অদ্ভুত যেখানে ভাইরাসরা নানাভাবে নিজেদের বিস্তার ঘটাতে পারে। লক্ষণহীন সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ভাইরাসও নিশ্চিন্তে বেড়ে ওঠে বাদুড়ের শরীরে। এই ৬৬ রকম ভাইরাসের মধ্যে কিছু প্রাণঘাতী ভাইরাসের সঙ্গে পৃথিবীর পরিচয় হয়েছে। যেমন রেবিস ভাইরাস। এদের বাহকও বাদুড়। নিপা ভাইরাসের বাহক তিনরকম বাদুড় যার মধ্যে একটা পরিচিত হেন্দ্রা ভাইরাসের বাহক তাছাড়া গ্রে-হেডেড বাদুড় আরও দুই প্রজাতি আছে। মারবার্গ ইবোলা ভাইরাসের বাহকও বাদুড়ই। পশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে হানা দিয়েছে এমন উদাহরণ আছে। এই মিল। মূল আধার কিন্তু সেই বাদুড়ই।