হাসপাতালের সামনেই নর্দমা থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য
নিউজ ডেস্ক:হাসপাতালের সামনেই নর্দমা থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ।।হাসপাতালের সামনের নর্দমায় বড় ভারী কিছু ভাসতে দেখেছিলেন পথ চলতি মানুষ। সন্দেহ হয় বস্তার ভিতর থেকে কালো চুলের মতো কিছু বেরিয়ে থাকতে দেখে। সন্দেহ দানা বাঁধায় থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে বস্তা নর্দমা থেকে তুলতেই বেরিয়ে আসে গোটা একটা দেহ। হাসপাতালের সামনেই নর্দমা থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মহকুমা হাসপাতাল চত্বর এলাকায়।
।
রহস্য আরও দানা বেঁধেছে, কারণ পুরভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেহ উদ্ধারের ঘটনা। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই তো? উঠছে প্রশ্ন। তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।বৃহস্পতিবার জেলার পুরভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে শুক্রবার সকালে এগরা মহকুমা হাসপাতালের সামনের ড্রেন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে আসা কয়েকজন রোগীর আত্মীয় প্রথমে বস্তাটা ভেসে থাকতে দেখেন। প্রথমে তাঁরা বিষয়টি আমল দেননি। পরে পথ চলতি কয়েকজন ও এক স্থানীয় দোকানদার বিষয়টা লক্ষ্য করেন। তাঁরাই থানায় খবর দেন।পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি দেখে চিনতে পারেননি। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। জলে থেকে দেহ ফুলে উঠেছে। দেহের ছবি তুলে আশেপাশের থানাগুলিকেও খবর করা হয়েছে।আপাতত মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তারপর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মৃত্যু সম্পর্কে কোনও ‘ক্লু’ হাতে পেতে পারে পুলিশ।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতালের সামনের চত্বর সর্বদাই জনবহুল থাকে। সেক্ষেত্রে লোকচক্ষুর আড়ালে কেউ কীভাবে বস্তাবন্দি দেহ ফেলে যেতে পারে ,আর সেটা কেউ দেখলই না? তদন্ত করছে পুলিশ।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করতে চাইছেন না। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “একটা বড় কিছু নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখেছিলাম। এত বড় কিছু সাধারণ নর্দমায় ফেলা হয় না। তাতেই সন্দেহ হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।